রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের প্রতি এ বিষয়ে সার্কুলার ইস্যু করতে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে বুধবার রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অ্যান্টিবায়োটিকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’সহ দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয় রিটের সঙ্গে।
গত ২২ এপ্রিল দ্য টেলিগ্রাফ ‘বাংলাদেশের আইসিইউতে ১০ মৃত্যুর মধ্যে ৮টি মৃত্যুর জন্যই দায়ী সুপারবাগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরে ওই প্রতিবেদন বাংলায় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়।
যেখানে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছর ৯০০ জন আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে মারা গেছেন ৪০০ জন।
রিটকারী আইনজীবী সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই।
তিনি আর বলেন, যে অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের খাওয়ার কথা সেটা খাওয়ানো হচ্ছে পোল্ট্রিকে। যে কারণে এগুলো ইনডাইরেক্টলি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি হচ্ছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন রিটকারী নিজেই। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।