উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির জরুরী সভা শেষে এই ঘোষণা দেন তারা। পদত্যাগের ঘোষণা দেয়াদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, টিএসসি’র পরিচালক, প্রক্টর, প্রভোষ্ট, লাইব্রেরীয়ান, পরিবহন পুলের ম্যানেজার।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু জাফর মিয়া জানান, ভিসি’র অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে গেছে। তাই এই মুহুর্তে ওদের অভিভাবক হিসেবে আমাদের কি করণীয় থাকতে পারে সে বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষক সমিতি জরুরী সভা করেছি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে’র দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী সভা শেষে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ৪৫ জন শিক্ষক তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সামনে এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও জানান, ভিসি’র অপসারণের জন্য আমরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এর মধ্যে ভিসিকে অপসারণ না করা হলে বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরাও আমরণ অনশনে যোগ দিবেন।
উল্লেখ্য, ‘শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেয়ার প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ থেকে ভিসি’র পদত্যাগ দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে আসছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে ৮ দফাসহ ভিসি’র পদত্যাগ দাবিতে দুই ঘণ্টা করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে আসছেন শিক্ষকরা। সবশেষ ভিসি’র পদত্যাগ বা পুর্নমেয়াদে ছুটি নয়, বরং তার অপসারণ দাবিতে বুধবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। একই দিন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা ভিসি’র অপসারন দাবিতে প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।