নারীরা এখন আর কোন কাজেই পিছিয়ে নেই। তার বাস্তব প্রমান দিয়েছেন বরিশালের উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা দুইজন সফল নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার। নিজেদের মেধা, সততা, দক্ষতা ও বিচক্ষনতার অতীতের পুরুষ ইউএনওদের চেয়ে সর্বক্ষেত্রেই অনেকাংশে এগিয়ে রয়েছেন এ দুই উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
সূত্রমতে, বরিশালের গৌরনদী ও উজিরপুর উপজেলার কর্মরত দুই নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দক্ষতা ও সুনামের সাথে মাঠ সামলাচ্ছেন। তৃনমূল প্রশাসন থেকে সাধারণ নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এ দুই উপজেলার নারী ইউএনওদের ওপর আস্থা বেরেছে জনসাধারনের। ২০১৮ সালে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দ্বিতীয় নারী ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন ২৭তম বিসিএস’র কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান খালেদা নাছরিন। তিনি এ উপজেলায় যোগদানের পরপরই উপজেলার সাধারণ নাগরিকদের সেবা নিশ্চিতের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক সেবা প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরের জন্য কাজ শুরু করেন। মাঠপর্যায়ে দীর্ঘবছর কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে গৌরনদী উপজেলাকে তিনি একটি আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।
মাদকমুক্ত ॥ গৌরনদীর যুবসমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখতে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা কার্যকরের মাধ্যমে যুবসমাজকে খেলাধুলায় তিনি উৎসাহ যুগিয়েছেন। এছাড়াও থানা পুলিশকে মাদকের বিষয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের জন্য সার্বক্ষনিক নির্দেশনা প্রদানসহ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাদকসেবীদের জেল-জরিমানা করে আসছেন।
শিক্ষা ব্যবস্থায় অগ্রগতি ॥ মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান নিশ্চিত করনের জন্য তিনি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা পরির্দশন, বিদ্যালয়গুলোকে ডিজিটালাইজডকরন, বই উৎসবে অংশগ্রহন করে শিশু-কিশোরদের উৎসাহ প্রদান করে আসছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মাননিশ্চিকরনের লক্ষ্যে নকলমুক্ত পরিবেশে বিভিন্ন পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন পরীক্ষায় বিগত বছরে সারাদেশের কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে প্রশ্নফাঁস হলেও তার (খালেদা নাছরিন) বিচক্ষনতায় গৌরনদীতে কোন প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটেনি।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ॥ উপজেলাবাসীকে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে উপজেলা সমন্বয় সভায় ইউপি চেয়ারম্যানদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদানসহ যেখানেই বাল্যবিয়ে সেখানেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন ইউএনও খালেদা নাছরিন। এমনকি বাল্যবিয়ের স্থলে তিনি হাজির হয়ে বর-কনেসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করে সর্বত্র ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ফলে গত একবছরে উপজেলায় প্রায় শতাধিক বাল্যবিয়ে পন্ড হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার সর্বত্র বাল্যবিয়ের সংখ্যা ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে।
প্রকল্পের বাস্তবায়ন ॥ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পটি সুষ্ঠ ও সুন্দর তদারকির মাধ্যমে যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন। ব্রান্ডিংয়ে রুপান্তর ॥ আধুনিক গৌরনদী প্রতিষ্ঠায় গৌরনদীর ঐতিহ্য দধি-মিষ্টি ব্রান্ডিং করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার, প্রচারণা ও উপজেলার ডকুমেন্টারি প্রস্তুত করেছেন। সরকারের উন্নয়ন মেলা আয়োজনের মাধ্যমেও তিনি (খালেদা নাছরিন) ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন। সংস্কৃতির বিকাশ ॥ শিশু-কিশোরদের সুস্থ্য মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমীর আধুনিকায়ন ও গৌরনদী থিয়েটার প্রতিষ্ঠা, উপজেলা মডেল পাঠাগার স্থাপন ও শিশু পার্ক স্থাপন করেছেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ॥ ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণ, ভেজাল বিরোধী অভিযান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
কোনধরনের বিতর্ক ছাড়াই জাতীয় সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্বপালন, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপন, ভিক্ষুক মুক্ত করনে তৃনমূল জনপ্রতিনিধিদের দিকনির্দেশনা প্রদান, অফিসার্স ক্লাবের আধুনিকায়নসহ সরকারী দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ গৌরনদীবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন জনবান্ধব নারী ইউএনও খালেদা নাছরিন। ফলশ্রুতিতে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। এর আগে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি (খালেদা নাছরিন) এক ঘন্টায় দেড় লাখ বৃক্ষরোপন করে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।
মাসুমা আক্তার ॥ বিসিএস ক্যাডারের ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার ২০১৮ সালে বরিশালের উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি গৌরনদী উপজেলা প্রথম নারী ইউএনও হিসেবে যোগদান করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছিলেন। উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করার পরপরই অবহেলিত উজিরপুর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ শুরু করে জনবান্ধব নির্বাহী অফিসার হিসেবে আখ্যা পেয়েছেন মাসুমা আক্তার।
শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান ॥ টেকসই উন্নয়ন, অন্তর্ভূক্তিমূলক ও সমতা ভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরন এবং সবার জন্য আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরির জন্য উজিরপুর পৌর এলাকা ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নগুলোর প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষায় নিজ উদ্যোগে তিনি (ইউএনও) পৌর এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ রাসেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
অগ্রাধিকার ও উদ্দেশ্যসমূহ ॥ উজিরপুর পৌর সদরের ডব্লিউ.বি মডেল ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন বিদ্যালয়টি সরকারী হওয়ায় একদিকে যেমন শিক্ষার গুণগতমান উন্নত হচ্ছে, অপরদিকে সংকট ও ভোগান্তিতে পরেছে কয়েক শতাধিক স্বল্প মেধাবী ও অস্বচ্ছল ছাত্র-ছাত্রী। এসব শিক্ষার্থীরা ওই বিদ্যালয়টিতে ভর্তি ইচ্ছুক হলেও মেধা তালিকায় না থাকার কারণে ভর্তি হতে পারেনি। পৌর সদরে ছাত্রীদের জন্য বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও ছাত্রদের জন্য কাছাকাছি অন্য কোন বিদ্যালয় নেই। এক্ষেত্রে শত শত শিক্ষার্থীদের প্রায় চার কিলোমিটার দূরত্বের বিদ্যালয়ে যেতে হতো। পায়ে হেঁটে বেশি দূরত্বের স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতে অনেক শিক্ষার্থীরা অনীহা প্রকাশ করায় শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়ার আশংক্ষা দেখা দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় পৌর এলাকার সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য শেখ রাসেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা আক্তার।
স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেই শুধু দায়িত্বপালন শেষ করেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তাদের সুপ্ত প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে সমৃদ্ধ মানবিক গুনাবলীসম্পন্ন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উৎসাহিত করে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের বাবা-মাকে দারিদ্র বিমোচনের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় আনা, সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের স্কুলের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য পোশাক প্রদান, সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের স্কুলের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য মিড-ডে মিল চালু করণ ও বস্ত্র প্রদান, অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা স্বযতেœ পাঠদান নিশ্চিতসহ শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে নানাবিদ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আধুনিক উজিরপুর গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রচারবিমুখ এ কর্মকর্তা।
ওয়াশ ব্লক নির্মাণ ॥ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত ওয়াশরুমে যথেষ্ঠ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক কোন ওয়াশরুমের ব্যবস্থা না থাকায় সকল শিক্ষার্থীকে একই ওয়াশ রুম ব্যবহার করতে হয়। ফলে মেয়ে শিক্ষার্থীরা ওয়াশ রুম ব্যবহারে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। একইসাথে ছাত্রীরা তাদের বয়োঃসন্ধিক্ষণে মাসের নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে গমনে বিব্রতবোধ করে। তাই ছাত্রীরা যাতে এরূপ বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার না হয় এবং নিশ্চিতমনে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে সেজন্য উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৃথক ওয়াশ ব্লক ও চেঞ্জিং রুম স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ইউএনও মাসুমা আক্তার।
সিসি ক্যামেরার আওতায় পরীক্ষা ॥ বহিরাগত অবৈধ অনুপ্রেবেশ, নকল সরবারহ ও কক্ষ পরিদর্শকদের পক্ষপাতমূলক আচরণসহ বিগত দিনের নানা অনিয়মে জর্জরিত ও কলুষিত বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে উপজেলার শিক্ষার গুণগত মান অনেকটা নিচে চলে যায়। ফলে উজিরপুরের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা উচ্চতর শিক্ষার জন্য ভালোমানের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছিলোনা। ফলে নকলমূক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে ক্লোজ্ড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। বিশেষ সফটওয়ার ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পুরো উপজেলার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোকে মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে এসেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা আক্তার।
ডিজিটাল ক্যাম্পাস ॥ মানসম্মত শিক্ষা প্রদান, স্কুলে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, ডিজিটাল হাজিরা প্রদান, অনলাইনে ভর্তিকরণ, ফলাফল প্রদান, বেতন ফি প্রদান, শিক্ষকদের পাঠদান, তদারকিকরণ, মাল্টি মিডিয়া ক্লাশরুম ব্যবহার করে ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আকর্ষনীয় ও আনন্দঘণ শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করে ডিজিটাল ক্যাম্পাস রূপান্তর করেছেন ইউএনও।
বঙ্গবন্ধু কর্ণার ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ইতিহাস ও স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস ও স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের অবদান ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করার জন্য উজিরপুর উপজেলার শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করে উপজেলার বেশ কয়েকটি কলেজ ও বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্ণার। এছাড়াও জাতির পিতার ম্যুরাল, লাইব্রেরীতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত বই বিভিন্ন মনীষীদের জীবনী এবং কবি সাহিত্যিকদের উল্লেখযোগ্য বই সরবরাহ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা আক্তার।
কিশোর-কিশোরী ক্লাব ॥ শিশু, কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি আত্মমর্যাদাবান, আত্মনিভর্রশীল, সৎ চরিত্রবান, উচ্চ মনোবলসম্পন্ন এবং অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আন্তর্জাতিক, বিশ্ব ভ্রাতৃত্বমূলক, ধর্মনিরপেক্ষ ও স্বেচ্ছাধর্মী সেবামূলক সংগঠন হিসেবে উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠণ করা হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ॥ ইনোভেশন ইন পাবলিক সার্ভিসে উজিরপুর স্বাস্থ্য বিভাগ হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠির জন্য হাসপাতালের বহিঃবিভাগ সেবা সহজি করণের জন্য হেল্থ কার্ডের প্রচলন শুরু করা হয়েছে। মাঠ কর্মীরা এলাকায় গিয়ে গরীব রোগীকে চিহ্নিত করে তাদেরকে ডাটাবেজের আওতায় অন্তর্ভূক্ত করে হেল্থ কার্ড প্রদান করে থাকেন। ওই কার্ডধারীরা স্বাস্থ্য সেবার জন্য হাসপাতালে আসলে তাদেরকে পূর্বের ন্যায় লাইনে দাঁড়াতে হয়না। এছাড়াও মোবাইল ফোনে অনলাইনে কাঙ্খিত চিকিৎসকের সাথে আলাপ করে তাদের কাছ থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ নেয়ার ব্যবস্থা করেছেন ইউএনও মাসুমা আক্তার। ফলে সুবিধা বঞ্চিত ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির সময়, খরচ ও ভোগান্তি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়ন ॥ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের জন্য বিজয় ফুল প্রতিযোগিতা, জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছেন মাসুদা আক্তার। মাদক নির্মূলে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান, বাল্যবিয়ে রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন, সংস্কৃতির বিকাশ, উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ, ভেজাল বিরোধী অভিযান, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, নদী ভাঙ্গনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন ইউএনও মাসুমা আক্তার। ফলে সফল নারী ইউএনও মাসুমা আক্তারকে এবছর জনপ্রশাসন পদক প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।