বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভিসি প্রফেসর ড এস এম ইমামুল হক আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করেছেন।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি “বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আবেদন” শিরোনামে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভিসি বলেন, “ বিগত ১৮ এপ্রিল ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ ব্যানারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতেগোনা ও চিহ্নিত কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী মানববন্ধন করে, যেখানে তারা আমার পদত্যাগ দাবি করে। ইতিপূর্বে চিহ্নিত কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থীও একই দাবি করে আসছিল।
এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী মিলিয়ে সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ৫% এর বেশী হবে না। এরা কার স্বার্থ হাসিলের জন্য বাকী ৯৫% শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ধ্বংস করার জন্য নেমেছে, এটা আমার প্রশ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এ ধরণের পরিস্থিতির অবসান চায় বলে আমার দৃড় বিশ্বাস। তারা এক কথিত সন্ত্রাসের ভয়ে ভীত হয়ে এর প্রতিবাদ করে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসছে না।
প্রিয় শিক্ষার্থীদের কাছে আমার আবেদন, পরবর্তী কর্মদিবসে তোমরা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে ক্লাসে চলে যাও। সকল বরিশাল বাসীর কাছে আমার অনুরোধ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে তার মহীমা নিয়ে এগিয়ে চলতে আপনাদের সাহসী প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে আসুন।
এদিকে ভিসির এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোনল চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন এবং সাথে সাথে ভিসির পদত্যাগ দাবি করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত , ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে বৈকালিন চা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শিক্ষার্থীরা এই অনুষ্ঠানের প্রতিবাদ জানালে, এ ঘটনায় ভিসি ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেন । এর প্রতিবাদে এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
-ক্যাম্পাসলাইভ২৪