রির্পোটঃআর-এম.
কোন শিশু যৌন হয়রানির করাটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। কিন্তু এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে আমাদের সচেতনতামূলক উদ্যোগ তুলনামূলক খুব কম। অথচসামাজে একটু সচেতনতা গড়লেই এ বিষয়টি অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়। আর এই সচেতনতার মূল দায়িত্বটি পালন করতে হবে অভিভাবকদের।
এই দেশের মানূষের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির কারণে হয়তো অনেকেই শিশু যৌন হয়রানির এই বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলতে চায় না। প্রায় সবাই এই বিষয়টি এড়িয়েযান বা চেপে যান। এই এড়িয়ে যাওয়া বা চেপে যাওয়ার কারনেই এদেশে শিশু যৌন হয়রানির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে আমার মনে হয়।
এই বিশ্রী ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশের অনেকের সাথেই ঘটে চলেছে। কোন কোন শিশু হয়তো ভয় পেয়ে মা-বাবার কাছেও এসব শেয়ার করতে পারেনা। অথচ আমাদের সমাজের বিকৃত রুচির মানুষগুলোর পশুসুলভ আচরণ এভাবেই বহু শিশুর শৈশব নষ্ট করছে যা দীর্ঘমেয়াদে অনেকের ক্ষেত্রে মানসিক অসুস্থতারকারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুযোগের অভাবে অনেকে হয়রানি করে থাকলেও যথাযথ সুযোগ পেলে এই হয়রানিই রূপ নেয় সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া আখিঁর মতো বীভৎস ধর্ষণেরঘটনায়। আর ঠিক এ কারণেই অভিভাবকদের উচিত এ বিষয়গুলো চেপে না রেখে জোরালো প্রতিবাদ করা। আর সরকারেরও উচিৎ এই সব নর পশুদের বিরুদ্ধেকঠোর আইনী ব্যাবস্থা নেয়া এবং ভিবিন্ন ভাবে সমাজের সকল মানুষের মাজে সচেতনতা গড়ে তোলা।