শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারের কাছে হার মানতে হলো কাজী ইকরামুল বাশার তুহিনকে। মরণঘ্যাতি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এক বছরের লড়াই শেষে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
কাজী ইকরামুল বাশার তুহিন ক্রিকেট তারকা হাবিবুল বাশার সুমনের বড় ভাই। এক সময় ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবল দলের গোলরক্ষক ছিলেন তিনি। আশি-নব্বইয়ের দশকে ঢাকার ফুটবলপ্রেমীদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘তুহিন’ নামে।
গত বছরের জানুয়ারিতে তুহিনের পাকস্থলীতে ক্যান্সারের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ঢাকার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারও করা হয়। কিন্তু সেরে উঠেনি তিনি। তার প্রয়োজন ছিল উন্নত চিকিৎসার। এ চিকিৎসা ব্যয় যোগাড়ে নিরন্তর চেষ্টা করেছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন। তুহিনকে বাঁচাতে গত বছর মে মাসে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটাররা। মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও তাসকিন আহমেদের মতো ক্রিকেট তারকারা সে সময় তুহিনকে দেখতে তার লালমাটিয়ার বাসায় গিয়েছিলেন। সে সময় সমাজের বিত্তবান ও ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িতদেরকে তুহিনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন কাজী ইকরামুল বাশার তুহিন।
তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন তুহিনের পরিবার।