প্রতিদিন আমরা এমন কিছু কাজ করি, যার কারণে শরীর নষ্ট হতে শুরু করে। আর সব থেকে ভয়ঙ্কর বিষয় হল সে বিষয়ে আমাদের খেয়ালও থাকে না। ফলে একটা করে দিন কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মধ্যেকার অনেক কিছু বদলে যেতে শুরু করে, যা এক সময় ডেকে আনে নানান জটিল রোগকে।
কিছুক্ষেত্রে সমাজিকতার চাপে এইসব কাজকে আমাদের প্রশ্রয় দিতে হলেও নিজের শরীরের প্রতি আমাদের যে একটা দায়িত্ব আছে সেটাকে কি আমরা কোনও ভাবে অস্বীকার করতে পারি?
তাই তো আজ এই প্রবন্ধে আপনাদের সচেতন করতে সেইসব বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা আমাদের একেবারেই করা উচিত নয়।
পর্যপ্ত পরিমাণ পানি না খাওয়া
শরীরকে সচল রাখতে নিদির্ষ্ট পরিমাণ জলপান জরুরি। তবু আমরা অনেকেই সেই পরিমাণ পানি খাই না। ফলে নানা ভাবে শরীর খারাপ হতে শুরু করে। তাই তো একথা ভুলে গেলে চলবে না যে, পানি আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে ত্বক ও চুলকে ভালো রাখতে, শরীরে ফলুইডের মাত্রা ঠিক রাখতে, হজম ক্ষমতাকে উন্নত করতে এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।
সারাদিন ধরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার
এই ধরনের অভ্যাসের শিকার কি আপনিও? তাহলে আজ থেকেই সাবধান হন। না হলে কিন্তু বিপদ! একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, যারা দিনের বেশিরভাগ সময় ফোনের জগতে কাটান, তাদের ঘুম ঠিক মতো হয় না। আর একথা তো সকলেরই জানা যে ঘুম ঠিক মতো না হলে নানান ধরনের জটিল রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, ফোনে কথা বলার সময় আমাদের খেয়াল না থাকলেও আমরা এমনভাবে ফোন ধরি বা ঘারের পজিশন এমন থাকে যে তার প্রভাবে নানা অসুবিদা দেখা দিতে শুরু করে স্পাইনাল কর্ডে। তাই তো আপনাদের কাছে অনুরোধ ফোনের ব্যবহার একটু কমান। না হলে কিন্তু এক সময়ে গিয়ে আপনাকেই ভুগতে হবে।
রাতে দেরি করে ঘুমতে যাওয়া
আজকাল সবারই রাতে শুতে যেতে দেরি হয়। ঘরির কাঁটা যতক্ষণ না ১২টার ঘর পেরচ্ছে, ততক্ষণ যেন আমাদের চোখের পাতা এক হতেই চায় না। এই অভ্যাস কিন্তু খুব খারাপ। কথাতেই আছে না। তাড়াতাড়ি শুতে যাও, তাড়াতাড়ি ওঠো। এই বাক্যটি মেনে চললে শরীর ভালো থাকে, নচেৎ দেখা দেয় নানা রোগ। দেরি করে শুতে গেলে গভীর ঘুমের পরিমাণ কমে যায়। ফলে ক্লান্তি গ্রাস করতে থাকে আমাদের। আর ক্লান্ত শরীরে যে বিশ্ব জয় সম্ভব নয়, সেকথা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না!
ভাজাভাজি বেশি খাওয়া
একাধিক দেশি-বিদেশি গবেষণায় দেখা গেছে, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস থেকে ওজন বৃদ্ধিসহ নানা ধরনের মারণ রোগ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো এমন ধরনের খাবার খাওয়া কমান। পরিবর্তে শরীরের গঠনে সহায়ক এমন খাবার খাওয়া শুরু করুন। একথা ভুলে যাবেন না যে স্বাস্থ্যই সম্পদ। এই সম্পদ যদি কমতে শুরু করে তাহলে কিন্তু সুখ জানলা দিয়ে পালাবে। তাই সাবধান!
সপ্তাহের শেষে কেবল শরীরচর্চা করা
কয়েকজন আছেন যারা কেবল শনি বা রবিবার শরীরচর্চা করেন। এমনটা করলে কিন্তু শরীরের ভালো হওয়ার থেকে খারাপ হয় বেশি। কারণ সারা সপ্তাহ ইনঅ্যাকটিভ থাকার পর হঠাৎ করে শরীরের উপর খুব চাপ দিলে তার প্রভাব পরে পেশিতে এবং কোমরে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এমন করলে শরীর তো ভালো হই না, উল্টো নানা শারীরিক অসুবিধা দেখা দিতে শুরু করবে। তাই সপ্তাহে প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন, অল্প হলেও করুন। তাতে দেখবেন শরীর ভালো হতে শুরু করবে।