পবিত্র শবে বরাত এবং পাশাপাশি পরীক্ষা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। চলমান এ পরীক্ষার মোট পাঁচদিনের সূচিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার।
এর মধ্যে শবে বরাতের কারণে একদিনের এবং পরীক্ষাগুলো পাশাপাশি হওয়ার অন্য চারদিনের পরীক্ষার সময়সূচি বদলে দেওয়া হয়েছে।
পরিবর্তিত সময়সূচি দেখতে ক্লিক করুন
আগামী ২২ এপ্রিল শবে বরাতের দিন নির্ধারিত হওয়ায় ৫টি পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। ২১ এপ্রিলকে পবিত্র শবে বরাতের তারিখ নির্ধারণ করে পরীক্ষার সময়সূচি করা হয়েছিল। কিন্তু চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার পবিত্র শবে বরাত একদিন পিছিয়ে যাওয়ায় এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
পরীক্ষার সময়সূচিতে দেখা গেছে, আগামী ২২ এপ্রিল পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র, হিসাব বিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র, যুক্তিবিদ্যা দ্বিতীয়পত্র এবং ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা (আবঃ) দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
এছাড়া পরপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জিয়াউল হক এসব তথ্য জানান।
পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৭ এপ্রিলের আরবি প্রথমপত্র, সংস্কৃত প্রথমপত্র এবং পালি প্রথমপত্রের পরীক্ষা ৯ মে বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৮ এপ্রিলের আরবি দ্বিতীয়পত্র, সংস্কৃত দ্বিতীয়পত্র এবং পালি দ্বিতীয়পত্র অনুষ্ঠিত হবে ১১ মে বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২২ এপ্রিলের পদার্থ বিজ্ঞান, (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র, হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র, যুক্তিবিদ্যা দ্বিতীয়পত্র এবং ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা (আবঃ) দ্বিতীয়পত্র ১২ মে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৪ মে’র গার্হস্থ্য বিজ্ঞান প্রথমপত্র সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের পরীক্ষা বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া আগামী ৬ মে অনুষ্ঠিতব্য বিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।