ওয়েব ডেস্ক:শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়নি সমীর,আসগর এবং বীথির কাছে। ওঁরা এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। প্রত্যেকেই প্রতিবন্ধকতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে স্বপ্ন দেখে।
চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় দুর্ঘটনা। ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে ডান হাত কাটা পড়ে কুলতলির ১ নম্বর মধুসূদনপুরের বাসিন্দা সমীর মণ্ডলের। বাঁ হাত অকেজো হয়ে যায়। তবু হার মানেনি সমীর। মায়ের কথা শুনে পায়ে লেখা শুরু। এবার নামখানার দেবনগর মোক্ষদা দিন্দা উচ্চবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে সে।
ছোটবেলায় খেলতে খেলতে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পায় বারুইপুর ফুলতলার বাসিন্দা আসগর সর্দার। দুটি পা এখন নষ্ট। ভরসা বলতে হুইল চেয়ার। ইঞ্জিনিয়রিং পাস করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখে সে। সীতাকুণ্ডু বিদ্যায়তন স্কুলের ছাত্র এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
শরীর জুড়েই জড়তা। আশি শতাংশ প্রতিবন্ধী হুগলির আরামবাগের মধুরপুরের বীথি মেদ্দা। শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন তার। এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে কেশবপুর হাইস্কুলের এই ছাত্রী। ইচ্ছাশক্তিকে মূলধন করে প্রতিবন্ধকতাকেই পরাজিত করেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সমীর মণ্ডল, আসগার সর্দার এবং হুগলির বীথি মেদ্দা। স্বপ্নপূরণের আশায় এই তিন পরীক্ষার্থী।