নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বরিশালের গৌরনদীতে মাদকের ভয়াবহতা বৃদ্ধিতে গৌরনদী উপজেলায় চর সরিকল সর্বত্র মাদকের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়ে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দিন দিন বেড়েছে চেলছে আসক্তের সংখ্যা। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এক শ্রেনির প্রভাবশালীরা প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসার জড়িয়ে পড়ায় প্রশাসনও অসহায় হয়ে পড়েছে।
গৌরনদীর চর সরিকল এলাকাবাসি অতি শান্তশিষ্ট গ্রাম। গ্রামের লোকগুলো অতি শিক্ষিত না হলেও তাদের মধ্যে কোন সামাজিক অবক্ষয় ছিলনা। সবাই নিজের মত করে সন্তান পরিজন নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে সকলের ঘুম হারাম করেছে মাদকাসক্ত মরণব্যাধি ইয়াবা। দিনের পর দিন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা। বড় থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের হাতে। মাদকাসক্ত পরিবারের অভিভাবক আজ ঘুম হারাম।
গৌরনদীর উপজেলার চর সরিকল গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার। সবাই তাকে ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী সুমন’ নামেই চিনে। ইয়াবার কারবারি হিসেবেও বেশ পরিচিত এলাকায়।
গৌরনদীর চর সরিকল গ্রামের ইয়াব সম্রাট সুমন হাওলাদার। সুমন একসময় চট্রগ্রামের একটি ক্লাবের পিওনে চাকুরীরত ছিলেন। চট্রগ্রামে থাকাকালীন মরন বস্ত ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এলাকায় এসে ইয়াবা আমদানী করে তরুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেন। দীর্ঘ দিন যাবৎ ইয়াবার ব্যবসা করা সত্বেও প্রশাসনের আড়ালে করে ধরা ছোয়ার বাহিরে থাকেন মাদক সম্রাট সুমন হওলাদার।
বর্তমান সরকারের মাদকের উপর বারবার অভিযান চলার পড়েও কৌশল পাল্টে সুমন গড়ে তুলেছেন ইয়াবা ব্যবসার বড় মাদকের সাম্রাজ্য।
সুমনের কাছে রাতদিন ২৪ ঘন্টাই মাদকের রাজ্যের ইয়াবা বণিকদের আনাগোনা। বিশেষ করে বিকেল গড়িয়ে রাত নামার সাথে সাথে খুচরা মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠে পুরো এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় মধ্যে এখন মাদকের ছড়াছড়ি। ছোট ছোট পুলাপানরা আজ নেশাগ্রস্থ। ইয়াবা সমাজটাকে ধ্বংস করে দিল। রাত হলেই এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। আমরা চাই প্রশাসন কঠোর হাতে মাদক ব্যবসায়ীদের দমন করবে। কিন্তু প্রশাসনের আড়াল করে চলে বলে তাদের কাছে অসহায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরো অভিযোগ করে বলেন,শুধু ইয়াবা ব্যবসায় নয় পাশাপাশি অস্ত্রের মহড়া হয়। এলাকাবাসীর কাছে শোনা যায় বছর খানেক আগে ইয়াবা বিক্রির মূল হোতা সরিকল বাজারের এক ব্যবসায়িককে ঘরেনিয়ে এসে অস্ত্র নিয়ে বারি দিয়ে তার কান ফাটিয়ে দিয়েছে। সেদিনই কথা ছড়িয়ে যাওয়ার পর তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে পরে।
বাগানে, জঙ্গলে, পানের বরজে,অন্ধকার জায়গা ,রাস্তার পাশে ঝোপঝারের মধ্যে ইয়াবা সেবনকালে ও বিক্রিকালে কেউ বাধা দিলে যে বা যারা বাধা দেয় তাকে মটরসাইকেল মহড়া দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি ও মারধর করেন। প্রশাসন তদন্ত করলে অভিযোগের সত্যতা পাবে।
ইয়াবা ব্যবসায়িক সুমনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনের বিভিন্ন মহলের কাছে অভিযোগ করে। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে গণস্বাক্ষর করে মাদক সম্রাট সুমন হাওলাদারের গ্রেপতারের দাবি জানায়। তারা একটায় দাবী করেন মাদকমুক্ত এলাকায় বসবাস করে তরুন প্রজন্মের একটা সুন্দর পরিবেশ দিতে চান।যাতে করে আর কেউ যেন না জড়ায় ইয়াবাসক্তে।