সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় নৌপথকে নিরাপদ রাখা সম্ভব, এজন্য যাত্রী, নৌ-যান মালিক, চালক, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতে হবে। ঝড়ের আগাম সতর্কতা পাওয়ার সাথে সাথে নৌযান নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে হবে। যাতে দূর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়।
বৃহষ্পতিবার (০৪ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় বরিশাল নদী বন্দরের টার্মিনাল ভবনের নীচ তলায় নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৯ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নৌ-পথে অবৈধ ও ঝুকিপূর্ণ যানবাহন রোধে জেলা প্রশাসন বিআইডব্লিউটিকে সার্বিক সহযোগীতা করবে। জেলা প্রশাসক বলেন, নদীকে মায়ের মতো ভালোবাসতে হবে। নদীকে দুষন মুক্ত রাখতে হলে যাত্রীবাহিসহ সকল নৌযান থেকে বর্জ্য নদীতে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থান বা ঝুড়িতে ফেলা উচিত। যেগুলো পরবর্তীতে নদীতে না ফেলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা সম্ভব হয়। তাই সকল নৌযানে ঝুড়ির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে । আমরা আশাকরি বরিশাল নদী বন্দরে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার ডাষ্টবিন তৈরি করা হবে। সে লক্ষ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে কথা বলা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আজমল হুদা মিঠু সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর বরিশালের ইঞ্জিনিয়ার এন্ড সীপ সার্ভেয়ার আবু হেলাল সিদ্দিকী, বাঅনৌচ (যাপ) সংস্থার পরিচালক মোঃ রিয়াজুল কবীর, সদস্য সুলতান মাহমুদ খান প্রমুখ।