বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি নিরসনে সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষানুরাগী, সুশীল সমাজ, স্থানীয় প্রশাসন এবং গণমাধ্যমসহ সচেতন বরিশালবাসীকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক ফয়সল মাহমুদ রুমি স্বাক্ষরিত ও ই-মেইলে প্রেরিত উপাচার্যের এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমার (উপাচার্য) প্রদত্ত বক্তব্যের মধ্যে অনুক্ত একটি শব্দ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এর সুযোগ নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে তোলার প্রয়াস চালায়। এই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয় সার্বিক নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হই। এই সিদ্ধান্ত নিতে আমার অনেক মানসিক কষ্ট করতে হয়, কারণ আমি নিজেও একজন শিক্ষক, শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখাই আমার কাজ। একই কারণে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছিলো।
পরবর্তীতে গত ২৯ মার্চ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমার বক্তব্যের কারণে কেউ আহত হয়ে থাকলে তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশও করি। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের সহিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যহত রাখার নামে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনসমূহ তালা দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এ অবস্থায় একাডেমিক কার্যক্রম চালু করাও সম্ভব হবে না। আমি আমার শিক্ষার্থীদের নিশ্চিত করতে চাই অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ বাংলার গর্ব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্রিয় ফল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখা আমাদের সকলের পবিত্র দায়িত্ব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতা কাম্য। একইসাথে আমি বরিশালের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বীরমুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষানুরাগী, সুশীল সমাজ, স্থানীয় প্রশাসন, গণমাধ্যমসহ সমগ্র সচেতন বরিশালবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান রেখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি নিরসনে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।