পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নের মধ্য তুলাতলা গ্রামের দিনমজুর সিদ্দিকুর রহমান(৫০) বড়ই দুর্ভাগা। গাছচাপায় ভাঙা পা বিছানায় ছড়িয়ে বসে থাকেন তিনি। গত একবছর ধরে শুয়ে ঘুমানোর সুযোগ হয়নি তার। দিবারাত্র বসে থাকেন আর সুস্থ জীবন ফিরে পাবার জন্য কাঁদেন। অর্থাভাবে তার চিকিৎসা চলছে না।
আহত সিদ্দিকুর জানান, ভূমিহীন জীবনে কৃষি জমিতে কামলা খেটে চলছিলো চার সদস্যের পরিবার। বড় স্বপ্ন ছিলো তার ব্যবসায়ী হবার। তাই দিনমজুরি ছেড়ে এলাকায় গাছের ব্যবসা শুরু করলেন। গৃহস্থের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাছ কিনতেন। সেই গাছ স’মিলে কেটে বিক্রয় করতেন।
একদিন ভর দুপুরে এক গৃহস্থের কেনা গাছ কেটে ট্রলিতে উঠাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত গাছের গুড়ির নিচে চাপা পড়ে বাম পায়ের হাঁটুর জয়েন্টের ওপরের হাড় ভেঙ্গে যায়। পরে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কয়েকদিন পড়ে থাকেন।
চিকিৎসকরা জানান, সুস্থ হতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। কিন্ত অর্থাভাবে সিদ্দিকুর ভাঙা পা নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে এসে গ্রাম্য কবিরাজি নানা চিকিৎসা নেন। এতে ভাঙা হাড় আর জোড়া লাগে না। উপরন্তু পুরো পা তার ফুলে ওঠে। সেই থেকে উন্নত চিকিৎসার আশায় বসে আছেন। কর্মহীন উপায়হীন সিদ্দিকের চার সদস্যের পরিবারের দুবেলা পেটের ভাত সংস্থানের এখন যেখানে সম্ভব হয়না সেই দুর্ভাগা জীবনে উন্নত চিকিৎসা কেবল স্বপ্নই থেকে যায়।
চিকিৎসকরা বলেছেন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এক থেকে দেড় লাখ টাকার প্রয়োজন। দয়ালু মানুষের সহায়তা ছাড়া তার আর চিকিৎসা সম্ভব নয়। তাই তিনি সহৃদয় মানুষের কাছে চিকিৎসার মিনতি জানিয়েছেন।
স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক নূরুল আমীন রাসেল বলেন, গত একবছর ধরে চিকিৎসাবিহীন ভাঙা পা নিয়ে তার অসহনীয় জীবন এখন কর্মহীন। বসেই ঘুমাতে হয় তাকে। কর্মহীন জীবনে পেটে ঠিকমত যেখানে ভরপেট খাবার মেলেনা সেই জীবনে উন্নত চিকিৎসা হবে কি করে ! মানবিক মানুষের সহায়তা ছাড়া আহত সিদ্দিকের চিকিৎসা সম্ভব নয়।
অসুস্থ সিদ্দিকুরের মোবাইল ও বিকাশ নম্বর ০১৭২৬৪১৮৫৭৮, ব্যাংক হিসাব নম্বর (সঞ্চয়ী হিসাব) ৯৮০১১৮০৪০৯৪, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সাপলেজা শাখা, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।