বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন এবং নির্মাণ সংক্রান্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি তদন্তে কাজ শুরু করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাজউকের কনফারেন্স রুমে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ২৯ মার্চ (শুক্রবার) এফআর টাওয়ার পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিমের নির্দেশে ২৮ মার্চ (অগ্নিকাণ্ডের দিন) রাতে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক এবং যুগ্ম সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অপর সদস্যরা হলেন স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসীর, রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) মো. সাঈদ নূর আলম ও নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মো. মইনুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন।
এদিকে শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটিকে বলেন, ‘এফআর টাওয়ারের প্ল্যান অনুমোদনে কোনো অনিয়ম ঘটেছে কিনা, অনুমোদিত প্ল্যানের বাইরে ভবন নির্মাণ হয়েছে কিনা হয়ে থাকলে এতে কারা জড়িত-ডেভেলপার, ভবন মালিক এমনকি আমাদের সংস্থার কেউ জড়িত থাকলে তার সম্পর্কে প্রতিবেদন দেবেন।’
সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে তদন্ত কমিটির।
উল্লেখ্য, এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় মোট ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২০ জন। তাদের মধ্যে ৫৬ জন রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের পর অন্যরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তাদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবস এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিকে ৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।