ফায়ার সার্ভিসের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, বনানীর এফআর টাওয়ারের অষ্টম, নবম ও দশম তলার বিভিন্ন ভিনাইল বোর্ড, প্লাস্টিক ও ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি বিশেষ করে কম্পিউটার থাকায় আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
তিনি বলেন, আগুন লাগে ১২টা ৫২ মিনিটে। ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিম দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পৌঁছতে আমাদের (ফায়ার সার্ভিস) সময় লাগে মাত্র ১২ মিনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৪টা ৪৫ মিনিটে। আর আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ হয় সন্ধ্যা ৭ টায়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
ফায়ার ডিজি বলেন, আমি ভেতরে গিয়েছিলাম। ভেতরে আমাদের ১০/১২টি টিম কাজ করছে। ভেতরে এখনো অনেক ধোঁয়া আছে। ভবনটির ৮, ৯ ও ১০ তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আগুন ঠিক কোন ফ্লোর থেকে লেগেছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা তদন্ত করলেই জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা এই তিনটি (৮, ৯ ও ১০) ফ্লোর থেকে ৯ জনের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করেছি। আর বাকিদের অধিকাংশই লাফিয়ে পড়ে মারা গেছেন। এছাড়া ৭০ প্লাস আহত রয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদের টিম কাল (শুক্রবার) সকাল ১০টা পর্যন্ত কাজ করবে। তদন্তের স্বার্থে সকাল ১০টা পর্যন্ত আলমত সংগ্রহ করা হবে। এরপর আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবো। আর ভবনের দায় দায়িত্ব পুলিশকে ন্যস্ত করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বনানীর এফআর টাওয়ারের এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহতের উদ্ধার করে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।