পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির ও মঠবাড়িয়া থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে। পিরোজপুর জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঠবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ ও দলটির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার পর এরই মধ্যে উপজেলায় ৫ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জনি তালুকদার হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং মঠবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র রফি উদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌসসহ ১০ জন জামিন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ তাদের ৪ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী হাসান আব্দুল কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় জামিন পাওয়া অন্যরা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন, নাসির হোসেন হাওলাদার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাকিল আহমেদ নওরোজ, আবুল কালাম মোল্লা, বাবু শরীফ, বাচ্চু বেপারী, লাভলু তালুকদার, বশির আহমেদ ও মাইনুল আহসান।
উপজেলার গুলিসাখালী বাজারে গত ২৩ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোসারেফ সাকুসহ ১৯ নেতা কর্মীকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থকদের দায়ী করা হয়।
এরপর ২৫ মার্চ সকালে গুলিসাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি জনি তালুকদারকে ইউনিয়নের কবুতরখালী এলাকার আলমগীর মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে ধাওয়া করে কবুতরখালী মাঠের মধ্যে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে জনির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জনির চাচা হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি স্বপন তালুকদার বাদী হয়ে ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জুনায়েদুর রহমান জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৬৫ জনের নামে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।’