রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ওই ভবনের একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতে মাকসুদুর রহমান (৩৫) ও তার স্ত্রী রুমকী (২৮)। আগুন লাগার পর বাঁচার জন্য ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন মাকসুদুর। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
এদিকে নিহত মাকসুদুরের স্ত্রী রুমকী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তারা দু’জনই একই অফিসে চাকরি করতেন বলে জানিয়েছেন তাদের খালাতো ভাই ইমতিয়াজ।
তিনি জানান, পুরান ঢাকার বাসিন্দা মাকসুদুর। স্বামী-স্ত্রী একই অফিসে চাকরি করতেন। পরিবারের একমাত্র ছেলে তিনি। বাবা মারা গেছেন ছোট বেলায়। সম্প্রতি মা’কে নিয়ে নতুন কেনা ফ্ল্যাটে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু এখন সবই শেষ হয়ে গেলে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ২৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
যোগ দিয়েছেন সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে সব কর্মীদের সহায়তা করছে আশপাশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা সোয়া ৬টা) আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে। ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেছে ফায়ার কর্মীরা ও সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় প্রায় অর্ধশত মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে তারা ভর্তি রয়েছে।