আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পার করেছে স্বাধীনতার ৪৮ বছর। দেশটা স্বাধীন হবার পিছনে যে ব্যক্তিটির অবদান অপরিসীম, যিনি না থাকলে হয়তো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতো না তিনি হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ স্বাধীনতা দিবস, জেলা প্রশাসন বরিশালের আয়োজনে যথাযথ মর্যাদায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করা। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন বরিশাল নানাবিধ কর্মসূচি পালন করেন।
আজ ২৬ মার্চ প্রত্যুষে পুলিশ লাইন বরিশাল ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কার্যক্রম শুরু করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে জেলা প্রশাসক বরিশাল নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ এর শুভ সূচনা করা হয় পরে একে একে সবাই পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজী আজিজুল ইসলাম সংলগ্ন বধ্যভূমি অভিমুখে পদযাত্রা। পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয় সেখান থেকে এডিসি আজিজুল ইসলাম এর কবরে ফুলদিয়ে সেখানে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
সকাল ৮ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে এবং শুদ্ধসুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার সাথে সঙ্গতি রেখে সারাদেশে জেলা-উপজেলায় একযোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা করা হয় বরিশালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে একযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সালাম গ্রহণ, কুচকাওয়াজ এবং শারীরিক চর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কুচকাওয়াজে ও রাতের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল, রাম চন্দ্র দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল, এস, এম, অজিয়র রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি পুলিশ কমিশনার বরিশাল, মেট্রোপলিটন পুলিশ বরিশাল, মোশারফ হোসেন বিপিএম, ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ, বরিশাল রেঞ্জ বরিশাল, মোঃ শফিকুল ইসলাম, বিপিএম পিপিএম, পুলিশ সুপার বরিশাল, মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম (বার), ডিজিএফআইর পরিচালক, কর্নেল জিএম শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরিশাল, শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরিশাল, মোঃ ইকবাল আখতারসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২ টায় লেডিস ক্লাব বরিশালে জেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন এবং সম্মাননা প্রদান করা হয়। জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, ও অগ্রগতি কামনা করে স্থানীয় সকল মসজিদে এবং বিশেষ মোনাজাত এবং সকল মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এদিকে সারাদিন ব্যাপি বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে, ২৬ মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধের দলিল এবং রেকর্ডপত্র ও চিত্রপ্রদর্শনী চলে। দুপুর ২ টায় হাসপাতাল, কারাগার, শিশু সদন ও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রসহ অনুরুপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
বিকেলে শিশুদের জন্য প্লানেট পার্ক উন্মুক্ত রাখা হয়। বিকাল তিনটায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নারীদের জন্য আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৪ টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম বরিশাল সিটি কর্পোরেশন একাদশ এর মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার হয়। সন্ধ্যা ৬ টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরিশেষে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন বরিশাল এর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্বাধীনতা কনসার্ট এর আয়োজন করা হয়েছে। কনসার্টে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন এসময়ের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী পড়শী সহ আরো অনেকে।
(Visited ৩ times, ১ visits today)