হবু বরের সঙ্গে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়ে ফেরার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত হয়েছেন।
নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন বোট ক্লাবের সামনে রোববার রাতে ঘটনা ঘটে। এ সময় হবু স্বামী ও তার বন্ধু আহত হয়েছেন।
নিহত তরুণীর নাম যারিন জাহরা (২০)। তিনি নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ৯ নম্বর রোডের তিন নম্বর ব্লকের বাসিন্দা আবুল কালামের মেয়ে।
নিহত যারিন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী ছিলেন। চন্দনাইশ উপজেলার এলাহাবাদ এলাকার ইফতেখার আহমেদ জিসানের সঙ্গে তার বিয়ের কথাবার্তা হয়েছিল। উভয় পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে বিয়ের দিনক্ষণ চ‚ড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল শিগগিরই। তার আগেই যারিন চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার বিয়ের পিঁড়িতে বসা আর হলো না।
পুলিশ জানায়, হবু স্বামী ইফতেখারের সঙ্গে একটি প্রাইভেটকারযোগে রোববার রাতে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে যান যারিন। সেখান থেকে ফেরার সময় তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এটি চালাচ্ছিলেন ইফতেখারের এক বন্ধু। দুর্ঘটনায় তিনজনই আহত হন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার সোমবার বলেন, ‘আহত অবস্থায় যারিনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার হবু স্বামী ইফতেখারও সামান্য আহত হন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন ইফতেখারের এক বন্ধু। তিনিও আহত হয়েছেন। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে শুনেছি।’
পতেঙ্গা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটি সড়ক বিভাজনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে এক তরুণী মারা গেছেন। আমরা প্রাইভেটকারটি জব্দ করেছি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
হবু স্বামী ইফতেখার আহমেদ জিসান বলেন, ‘আমাদের দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের দিণক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার কথাছিল। দুর্ঘটনায় এখন সবই শেষ হয়ে গেল।’