বরিশাল শহরের তেতুলতলায় বাস ও মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটি মারা গেছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে সাতে।
এই তথ্য শেবাচিম হাসপাতালে ডিউটিরত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হাসান নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শিশুটির মা পারভীন বেগমও এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তাদের বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা গ্রামে।
হতাহতদের উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার ইউনুস আলী জানিয়েছেন, মাহিন্দ্রাটি যাত্রী নিয়ে বানারীপাড়া থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে গরিয়ারপাড় এলাকাধীন তেতুলতলা নামক স্থানে বানারীপাড়াগামী ‘দুর্জয় পরিবহন’ নামক একটি যাত্রীবাহী বাস মাহিন্দ্রাকে ধাক্কা দেয়। এতে মাহিন্দ্রাটি দুমড়েমুচড়ে রাস্তার পাশে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই কলেজ ছাত্রী শীলার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মানিক ও খোকনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মেহেরুননেছা, মাহিন্দ্রাচালক সোহেল ও পারভীন।
সর্বশেষ রাজধানীতে নেওয়ার পথে মারা গেল নিহত পারভীনের ছেলে তাইয়ুম (৭)।
এর আগে মারা গেছেন- ঝালকাঠির বাসিন্দা ও বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) মাস্টার্সের গণিত প্রথম বর্ষের ছাত্রী শীলা হালদার (২৪), বাকেরগঞ্জের ইউনুস সিকদারের ছেলে ও নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার বাসিন্দা রং মিস্ত্রি মানিক সিকদার (৪০), নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কাশিপুর এলাকার এনছাফ আলীর ছেলে অটোরিকশাচালক খোকন (৩৫), বরিশালের কাশিপুরের গণপাড়া এলাকার ইদ্রিস খানের ছেলে দুর্ঘটনাকবলিত মাহিন্দ্রার চালক সোহেল (২৫), বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশার সাগরপাড় এলাকার মোখলেস হাওলাদারের স্ত্রী পারভীন (৩৫) এবং মাধবপাশা এলাকার মেহেরুননেছা (৫০)।
নিহত মেহেরুননেছার নাতি আব্দুল্লাহ (৭), সুমন (২৫), তন্নি (১৭) এবং দুলাল হালদারকে (৩০) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’