নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৯ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মসজিদের সেই ভয়াবহ হামলায় নিহতদের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাদের হাতে আসা হিসাব মতে মসজিদের ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশের তিনজন, ইন্দোনেশিয়ার ছয়জন নাগরিক নিহত হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে দেশটির নাগরিকের নিহত হওয়ার খবর জানানো হলেও কতজন তা জানানো হয়নি।
নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশী কূটনীতিকরা বলছেন, ক্রাইস্টচার্চের ওই হামলায় বাংলাদেশের তিনজন নিহত হয়েছেন। তাছাড়া আরও অন্তত দুইজন বাংলাদেশি নাগরিক নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম সুফিউর রহমান ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় তিনজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তাছাড়া দুই বাংলাদেশি এখনও নিখোঁজ ও গুরুতর আহত হয়ে ৫ জন আছেন হাসপাতালে আছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের অনারারি কনসাল শফিকুর রহমান ভুঁইয়া ইউএনবিকে জানিয়েছেন, নিহত বাংলাদেশিরা হলেন: স্থানীয় লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবদুস সামাদ, তার স্ত্রী সানজিদা আকতার। অন্যজন হলেন গৃহবধূ হোসনে আরা ফরিদ।
ভারতীয় হাই কমিশন জানিয়েছে যে কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে তারা ধারণা করছেন। তবে ঠিক কতজন নিহত হয়েছে সেই সংখ্যাটি এখনো নিশ্চিত নয়। ক্রাইস্টচার্চে অন্তত ৩০ হাজার ভারতীয়’র বসবাস বলে জানিয়েছেন দেশটির কূটনীতিকেরা।
ইন্দোনেশিয়ার কূটনৈতিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্রাইস্টচার্চে ওই হামলায় তাদের দেশের ছয়জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাছাড়া ইন্দোনেশিয়ার আরও অন্তত তিনজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, হামলার সময় মসজিদটির খুব কাছেই ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদে ঢোকার মুখে অজ্ঞাত এক নারীর কাছ থেকে হামলার সতর্কবার্তা পেয়ে কোনোরকমে বেঁচে ফিরেছেন তামিম, মিরাজ, তাইজুলরা।
পরে ঘটনাস্থল থেকে অদূরে অবস্থিত হাগলি ওভাল স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে তারপর নিজেদের টিম হোটেলে ফিরে যান বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। হামলার পর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তৃতীয় টেস্ট বাতিল করে শনিবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।