ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নূর। এই পদে ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভনকে তিনি ১ হাজার ৯৩৩ ভোটে পরাজিত করেছেন।
নূর পেয়েছেন ১১ হাজার ৬২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শোভন পেয়েছেন ৯ হাজার ১২৯ ভোট।
সোমবার রাত সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান সিনেট ভবনের অডিটোরিয়ামে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এতে দেখা গেছে, নূর ছাড়া তার প্যানেল থেকে সমাজসেবা সম্পাদক পদে আখতার হোসেন ৯ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এর বাইরে জিএস, এজিএসসহ বাকি ২৩ পদেই জয় পেয়েছে ছাত্রলীগ প্যানেল। এর মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জিএস পদে ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর এজিএস পদে সাদ্দাম হোসেন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৩০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
ছাত্রলীগের অন্য বিজয়ীরা হলেন— স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী, কমন রুম ও ক্যাফেরিয়া সম্পাদক লিপি আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহরিমা তানজিন অর্নি, সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়ন, সংস্কৃতি সম্পাদক আফিস তালুকদার, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর ও ছাত্র পরিবহন সম্পাদক শামস-ই নোমান।
এ ছাড়া সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন— ধোশীয় সাংমা চিবল, রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, তানভীর হাসান সৈকত, তিলোত্তমা শিকদার, নিপু ইসলাম তন্বী, রাইসা নাসের, সাবরিনা ইতি, রাকিবুল হাসান রাকিব, নজরুল ইসলাম, ফরিদা পারভীন, মাহমুদুল হাসান, সাইফুল ইসলাম রাসেল ও রফিকুল ইসলাম সবুজ।
ফলাফল ঘোষণা করে ভিসি বলেন, ‘সবকিছু নিখুঁত, বেগ পেতে হয়নি, এমনটি বলা যাবে না। তবে, এ বড় কর্মযজ্ঞে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
এ সময় প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমদ, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ সামাদ, চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এএসএম মাহফুজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তবে, ফলাফল ঘোষণার পরপরই পুরো অডিটোরিয়ামে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভ থেকেই তারা ভিসি সিনেট ভবনে প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ভোরে বাসভবনে পৌঁছে দেয়।’’