পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২৮টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি মনে করছে, এই নির্বাচনে ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে প্রথম ধাপের ভোট শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘চার বিভাগের ১২ জেলার ৭৮ উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে, তাতে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঁচ হাজার ৮৪৭টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। তার মধ্যে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ২৮টি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সময় ভোটগ্রহণ হবে। অন্যান্য কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।’
‘প্রথম ধাপের যে উপজেলা নির্বাচন হয়েছে, নির্বাচন কমিশন মনে করে, মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে’, যোগ করেন ইসি সচিব।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘কত শতাংশ ভোটার উপস্থিত ছিল, সেই তথ্য আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। তবে আমরা যা জেনেছি, তাতে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। তবে এখন পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতির হার আমাদের কাছে আসেনি।’
সব রাজনৈতিক দল অংশ নিলে ভোটার উপস্থিতি বাড়ত কি না, জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘যখন সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে, তখন ভোটার উপস্থিতি বাড়া স্বাভাবিক।’
শাস্তির বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে দুইজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর লালমনিরহাটের পাটগ্রামে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়াও অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার দায়ে ১০ জনের অধিক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ রোববার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে শেষ হয় ৪টায়।
ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোট ২৮ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন।
ইসির তথ্য মতে, ৭৮ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা এক কোটি ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫০ জন। মোট ভোটকেন্দ্র পাঁচ হাজার ৮৪৭টি। প্রথম ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান ২০৭ জন, ভাই চেয়ারম্যান ৩৮৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান ২৪৯ জন