নিখিল সেন নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান তিনি বেঁচে থাকবে বরিশালের সংস্কৃতিতে, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বটবৃক্ষ হয়ে। শোকসভায় বললেন জেলা প্রশাসক বরিশাল। আজ শনিবার ৯ মার্চ সকাল ১১ টার বরিশাল নগরীর অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে।
অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের আয়োজনে। অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও অভিভাবক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিখিল সেন এর প্রয়াণে শোকসভা আয়োজন করা হয়। শোকসভা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান, সাদা মনের মানুষ, বিজয় কৃষ্ণ দে, প্রবীণ আইনজীবী, মানবেন্দ্র বটব্যাল, পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অঞ্চল বরিশাল, প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন, শিশু সংগঠন, জীবন কৃষ্ণ দে, নারীনেত্রী, পুষ্প রানী কর্মকার, অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় অধ্যক্ষ, সুভাষ চন্দ্র পালসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্ত, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী, সুধীজন, শিক্ষকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য একুশে পদক প্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিখিল সেন গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৭ বছর। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে আজ এই স্মরণাঞ্জলি। নিখিল সেন বাংলাদেশের একজন প্রতিথযশা নাট্যকার ও সংস্কৃতিকর্মী। তিনি একজন অভিনয় শিল্পী, নাট্যকার, সাংবাদিক, আবৃত্তিশিল্পী, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ। আবৃত্তিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক পেয়েছেন। সর্বশেষ নাটকে বিশেষ অবদান রাখার জন্য একুশে পদক অর্জন করেন। নিখিল সেন ১৯৯৬ সালে শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সম্মাননা ও ২০০৫ সালে শহীদ মুনীর চৌধুরী পুরস্কার পান এই গুনিজন।
(Visited ১ times, ১ visits today)