মাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ঝালকাঠিতে সাংবাদিক কে এম সবুজের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ধরে নিয়ে তাকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কে এম সবুজ। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ঝালকাঠির সাংবাদিকরা। কে এম সবুজ ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং কালের কণ্ঠ ও এনটিভির জেলা প্রতিনিধি।
জানা যায়, ঝালকাঠিতে মাদক বিক্রি ও সেবন নিয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক সবুজ। পুলিশ মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়। ঝালকাঠি থেকে মাদক নির্মূলের ঘোষণা দেয় জেলা পুলিশ। এতে সাংবাদিক সবুজের ওপর ক্ষিপ্ত হয় মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীরা। গত কয়েক দিন ধরে ফোনে সবুজকে ঝালকাঠি ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়।
শনিবার মাদকসেবী মায়েজ হোসেন (৪২), তারিকুল ইসলাম অপু (৩০) ও কাজী মারুফ হোসেন ইরান সহ (৩৫) আরো তিন-চার জন প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সবুজকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয় তারা। এ সময় অন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সবুজকে রক্ষা করেন।
সাংবাদিক সবুজ বলেন, ‘মাদকসেবীদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে।’
ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান বলেন, ‘সবুজকে মারধর করার খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে ঝালকাঠি ছাড়া করার হুমকি দেয়।’
ঝালকাঠির চিহ্নিত মাদকসেবীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান খলিলুর রহমান। তা না হলে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও জানান তিনি।
ঝালকাঠি থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ‘এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এম এম মাহামুদ হাসান বলেন, ‘হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ওসিকে বলা হয়েছে।’