নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে সাথে দেশের নদীগুলোকেও হত্যা করা হয়েছিলো। ক্ষমতায় টিকে থাকতে একটি মহল নদী দখল শুরু করে। যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী উদ্ধার করেছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা পরিদর্শন শেষে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের সাথে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডেল্টা প্লান ঘোষণা করেছেন, সেটি বাস্তবায়নের জন্য মূল উৎস হচ্ছে নদী কেন্দ্রীক বাণিজ্য। সেক্ষেত্রে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিশাল ভ‚মিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে লক্ষে কাজ করছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাণিজ্য ক্ষেত্রে এশিয়া, ইউরোপসহ সমগ্র বিশ্ব একটি পরিবার হয়ে কাজ করছে। আমাদের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি সচল রাখতে একমাত্র নৌ-পথকেই কাজে লাগাতে হবে। আর পায়রা বন্দরের সুফল দেশের উত্তর অঞ্চলের মানুষও ভোগ করবে। এদিকে বন্দরের উন্নয়ন কাজে সন্তোস প্রকাশ করে তিনি বলেন স্বাধীনতার ৫০ বছর পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করেই উদযাপন করা হবে।
পায়রা বন্দর পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া- রাঙ্গাবালী) আসনের এমপি অধ্যক্ষ মো. মহিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান মোহন মিয়া, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর মো. জাহাঙ্গীর আলম, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব তালুকদার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান। এছাড়াও পায়রা বন্দকর্তৃপক্ষসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পুলিশ প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকাল পাঁচটায় কলাপাড়া শেখ কামাল অডিটরিয়মে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এর আগে সকালে বরিশাল সার্কিট হাউজে বরিশাল লঞ্চ মালিকদের সাথে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী। সেখানে তাকে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান ও উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি ট্রাফিক) খাইরুল আলম উল্লেখযোগ্য।’