অনলাইন ডেস্ক// প্রেমের সম্পর্কে প্রেমিকের হাত ধরে প্রেমিকার অজানার উদ্দেশ্যে পলায়নের ঘটনায় থানায় দায়ের করা অপহরণ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মহাবিপাকে পরেছেন থানা পুলিশ। গত দশদিনে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানায় এ ধরনের পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও বাগেরহাটের মংলা থানায় দায়ের করা অপহরণ মামলার অপহৃতাকে গৌরনদীর টরকীরচর এলাকা থেকে সাতদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত অপহৃতার দাবি প্রেমের সম্পর্কে সে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে আসার পর তার পরিবারের সদস্যরা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রের দাবি প্রতিটি অপহরণ মামলাই প্রেম ঘঠিত পলায়ন।
সূত্রমতে, সর্বশেষ গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন পূর্ব বেজহার গ্রামের মুজিবুল হক মোল্লা। ওই গ্রামের মুজিবুল হকের কন্যা পাপিয়া আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন থেকে একই গ্রামের মোকছেদ চোকদারের পুত্র ইব্রাহিমের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। অতিসম্প্রতি পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র পাপিয়ার বিয়ে ঠিক করার পর প্রেমিক ইব্রাহিমের হাত ধরে পাপিয়া পালিয়ে যায়।
রবিবার দুপুরে অজ্ঞাত স্থান থেকে মোবাইল ফোনে পাপিয়া সাংবাদিকদের জানান, ইব্রাহিমের সাথে আমার দীর্ঘ সাত বছর থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলোনা তার পরিবার। পাপিয়া আরও জানায়, তার অমতে পরিবারের ঠিক করা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তাকে অমানুষিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এমনকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতেও বাধ্য করা হয়। পাপিয়া জানায়, অতিসম্প্রতি পূর্ণরায় তাকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্র ঠিক করার পর প্রেমের সম্পর্কে সে স্ব-ইচ্ছায় ইব্রাহিমের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে। পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে পাপিয়া আরও জানায়, সে নিজের ইচ্ছায় ইব্রাহিমের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছে। এনিয়ে স্বামী ইব্রাহিম চোকদারসহ তার শশুর বাড়ির লোকজনকে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি না করার জন্য সে তার বাবা-মায়ের প্রতি অনুরোধ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তারা বলেন, অধিকাংশ অপহরণ মামলার তদন্তে গিয়ে দেখা গেছে প্রেম ঘঠিত পলায়ন। তার পরেও আইনি কারণে এসব মামলা গ্রহণ করে অপহৃতাকে উদ্ধার কিংবা অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে হচ্ছে।