বরিশালের ভাষা সৈনিক একুশে পদক প্রাপ্ত সংস্কৃতিজন নিখিল সেন (৮৭) আর নেই। তিনি আজ সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে বরিশালের শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় বার্ধক্যজনিত কারণে পরলোক গমন করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ সন্তান রেখে গেছেন।
নিখিল সেন বাংলাদেশের একজন প্রতিথযশা নাট্যকার ও সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব । তিনি একজন অভিনয় শিল্পী, আবৃতিশিল্পী, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ। আবৃত্তিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেছেন।
নাটকে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর হাতে এই সম্মাননা তুলে দিয়েছেন।
এছাড়াও ১৯৯৬ সালে শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সম্মাননা ও ২০০৫ সালে শহীদ মুনীর চৌধুরী পুরস্কার পান।
তিনি ১৯৩১ সালের ১৬ এপ্রিল বরিশালের কলশ গ্রামে নিখিল সেন জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম যতীশ চন্দ্র সেনগুপ্ত ও মা সরোজিনী সেনগুপ্ত। তিনি বাবা মায়ের ১০ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ।
নিখিল সেন মাধ্যমিক পাস করে উচ্চ শিক্ষার জন্য কোলকাতা সিটি কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে আবার বরিশালে ফিরে আসেন। সিরাজের স্বপ্ন নাটকে সিরাজ চরিত্রে অভিনয় করার মধ্য দিয়ে নাট্যজীবন শুরু করেন নিখিল সেন। এরপর তিনি অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন।
নিজেই দিক নির্দেশনা দিয়েছেন ২৮টি নাটকে। নিখিল সেন কমিউনিস্ট আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে নিখিল সেন যুদ্ধে যোগদান করেন।’’