বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ময়লার স্তূপে ৩৩ অপরিণত শিশুর (ফিটাস) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. সৈয়দ মাকসুমুল হক সাংবাদিকদের জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসকদের সমন্বয়ে চার সদস্যের আলাদা একটি কমিটি করা হয়েছিল। যেখানে গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আকবর হোসেনকে প্রধান করা হয়েছে। এছাড়াও ওই কমিটিতে শিশু বিভাগের একজন ও ফরেনসিন বিভাগের দুই জন চিকিৎসক রয়েছেন। তারা বুধবারই ৩৩ অপরিণত শিশুর (ফিটাস) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে- সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ৩৩টি অপরিণত শিশুর (ফিটাস) ময়নাতদন্তের কথা থাকলেও কমিটি গঠনে বিলম্ব হওয়ায় এবং আলোসল্পতার কারণে তা পেছানো হয়। তবে মরদেহগুলো হাসপাতালের মর্গের রেফ্রিজারেটরে যথাযথ নিয়মে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছিল।
এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ফিটাসগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে দেহাবশেষগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় সৎকার করা হবে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ৩৩টি অপরিণত শিশুর ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমান-ই হেমায়েত-ই ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা মরদেহগুলো মুসলিম করবস্থানে দাফন করবে।
এর আগে এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মী মিরাজ হাওলাদার বাদী হয়ে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।’’