বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) রাম চন্দ্র দাস শিক্ষার্থীদের বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা দিন দিন বই থেকে সরে গিয়ে ফেইজবুকে ঝুকে পড়ছে। তোমরা জীবনে অনেক সময় পাবে ফেইজবুক ব্যবহার করার হয়ত সেসময় বই পড়ার সুযোগ থাকবে না। তোমরা বই পড়ার সময়টা নষ্ট না করে ভালো করে বই পড়ার প্রতি মনোযোগী হয়ে জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত কর। তোমরা যতই বই পড়বে ততই জানবে চিনবে বিশ্বকে। তোমরা কেনোদিন নকল,মাদক সন্ত্রাস জঙ্গিদের সাথে সম্পূক্ত হবে না। এসময় তিনি আরো বলেন, তোমরা সব সময়ে বাল্য বিবাহের প্রতি সোচ্ছার ভূমিকা পালন করে সমাজকে আলোকিত করবে।
বিভাগীয় কমিশনার শিক্ষার্থী অভিভাবকদের বলেন, ছেলে-মেয়ে আপনারা সন্তানদের গ্রেট এ প্লাস পাওয়ার পিছনে না ছুটে সন্তানদের বিদ্যার্থী বানান দেখবেন সেখানে গ্রেটের প্রয়োজন হবে না।
আপনারা সন্তানদের প্লোটি বাচ্চার মত না গড়ে তাদেরকে সময় দিয়ে ভাল মানুষ হিসাবে তৈরী করেন। আমাদের সন্তানরা কোচিংয়ে এত ব্যস্ত সময় পাড় করে তারা ২৬ই মার্চ ও ২১ ফেব্রয়ারী কিসের জন্য তা জিজ্ঞাসা করলে বলতে পারে না। বর্তমান সরকার বাধ্য হয়ে কোচিং ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। আপনারা সন্তানদের বই পড়ার মাধ্যমে ছেলে-মেয়েদের বই পড়ার মাধ্যমে সাংস্কৃতি ও ইতিহাস জানার জন্য তাদের প্রতি নজর দেয়ার আহবান জানান।
আজ শনিবার নগরীর ব্যাপিষ্টমিশন বালিকা বিদ্যালয় ময়দানে গ্রামীন ফোনের সহযোগীতা ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে বরিশাল নগরীর স্কুল প্রর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের বই পড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরন উৎসব ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
এসময় আরো উপস্থি ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, বিশিষ্ট অভিনেতা আল মনসুর বেলাল, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোহাম্মদ আলী নকি, বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ ইউনুস, বরিশাল অঞ্চল মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন, বরিশাল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ বরিশাল গ্রামীন ফোন এরিয়া ম্যানেজার এস.এম ফিরোজ আল মামুন, এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দের পরিচালক শরীফ মোঃ মাসুদ ও বরিশাল ব্যাপিষ্টমিশন বালিকা উচ্চ বিধ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরী সূর্যানী সমাদ্দার।
পরে বরিশাল নগরীর ৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চারটি ক্যাটাগড়িতে ২ হাজার ১শত ৬৫ জন ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ৩০জনকে সেরা পাঠক হিসাবে তাদেরকে পুরস্কার করা হয় সহ সেরা ২ জন অভিভাবককে ও পুরস্কার করেন তারা।