উজিরপুরে বন্ধুর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করায় খুন হয় কলেজ ছাত্র ইমরান হাওলাদার। বরিশাল জেলার উজিরপুর থানাধীন ৩নং জল্লা ইউনিয়ন এলাকার মুন্সির তাল্লুক গ্রামের মোঃ ছরোয়ার হোসেন হাওলাদার এর বড় ছেলে কলেজ ছাত্র মোঃ ইমরান হাওলাদার (২২) এর গলাকাটা মৃত দেহ গত ০৯/০২/২০১৯ খ্রিঃ তারিখ সকাল ০৬:৩০ ঘটিকার সময় বাড়ীর উত্তর-পূর্ব পাশের্^ অনাবাদি জমির উপর পাওয়া যায়। এই ঘটনায় মৃতের পিতা মোঃ ছরোয়ার হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামীর বিরুদ্ধে উজিরপুর থানার মামলা নং-০৯, তারিখ-০৯-০২-২০১৯ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করে।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হেলাল উদ্দিনকে উক্ত মামলার তদন্তভার দেয়া হয়। তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একই বাড়ীর মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৭), পিতা-মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদারকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে আসামী মোঃ আরিফুল ইসলাম স্বীকার করে যে, মৃত ইমরান দীর্ঘ দিন ধরে তার স্ত্রী মোসাঃ রাবেয়া বেগমকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত ও হয়রানি করে আসছিল। আসামীর স্ত্রীর ছবি দিয়ে অশ্লীল ছবি বানিয়ে আসামীর স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
বিষয়টি জেনে আসামী আরিফ মৃত ইমরানকে অনেকবার সতর্ক করে এবং এসব কাজ করতে নিষেধ করে। গত ০৮/০২/১৯ খ্রিঃ তারিখ রাত্র অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় আসামী তার স্ত্রী ও ইমরান হাওলাদারকে আরিফুল ইসলাম তার বসত ঘরের পিছনে দেখতে পায়। তখন ইমরান এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন চেক করে তার স্ত্রী ও ইমরান এর অশ্লীল ছবি দেখতে পায়। আরিফুল ইসলাম উক্ত অশ্লীল ছবি ডিলেট করার জন্য ইমরানকে অনুরোধ করে এবং একান্তে কথা বলার জন্য বাড়ীর উত্তর-পূর্ব কোণে পুকুর পাড়ে অনাবাদি জমিতে নিয়ে যায়। অশ্লীল ছবি ডিলেট করার ক্ষেত্রে ইমরান গড়িমশি করতে থাকলে আসামী উত্তেজিত হয়ে তার সাথে থাকা দাও দিয়ে ইমরানের ঘাড়ে ও গলায় এলোপাথাড়ী কয়েকটি কোপ দেয়।
ফলে ইমরান মাটিতে লুুটিয়ে পড়ে। ইমরানের মৃত্যু নিশ্চিত করে সে ঘরে ফিরে যায়। হত্যা কান্ডের সময় আরিফুল ইসলাম এর পরণের গেঞ্জি ও ট্রেউজার এবং হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত রক্ত মাখা দাও রাতেই ধুয়ে ফেলে। অভিযান চালিয়ে আসামীর বাড়ী থেকে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত দা, আসামীর রক্ত মাখা গেঞ্জি ও ট্রেউজার এবং আসামীর দেখানো মতে মশান বাজারের ব্রীজের ঢাল হতে মৃত ইমরানের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।