সন্তানদের হাতে মোবাইল ও স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে, তাদের হাতে বই দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিবাচক দিক যেমন আছে তেমনি নেতিবাচক দিকও আছে। ছোটবেলায় আমরা বই পেতাম, এখন সে সময়টি শিশুরা স্মার্টফোনে কাটায়। অবিভাবকদের বলবো, আপনারা সন্তানদের হাতে মোবাইল ও স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে, তাদের হাতে বই তুলে দিন। তাদের স্বপ্ন দেখতে শেখান। বই তাদের জীবনকে আত্মপ্রত্যয়ী করার জন্য। স্বপ্ন দেখার জন্য।’
রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে অমর একুশে বইমেলা চট্টগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বইপড়ার মাধ্যমে শিশুদের সুকুমারবৃত্তিগুলো জাগ্রত করতে হবে। বই শুধু স্বপ্ন দেখায় না। বই বাঁচিয়েও রাখে। আমাদের দেশে কতজন রাজনীতিবীদ ছিলেন? তাদের ক’জনকে আমরা মনে রেখেছি। কিন্তু যারা বই লিখে গেছেন, আমরা তাদের আজও নিজেদের মধ্যে পাচ্ছি।’
তথ্য প্রযুক্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা যখন প্রথম ক্ষমতায় আসি তখন দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৮ লাখ, আর এখন ২০১৯ সালে সে সংখ্যা ৮ কোটির বেশি। বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ অনেক কিছু বদলে দিয়েছে। বলা যায় বিপ্লব হয়ে গেছে। যে কেউ চাইলেই তার কথা নিয়ে সবার কাছে যেতে পারছে। কোনো টিভি না দেখালেও, কোনো পত্রিকা না ছাপালেও।’
এর আগে বিকেলে তথ্যমন্ত্রী জাতীয় পতাকা, মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন চসিকের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন কলেজের ছাত্রীরা। পরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহায়তায় ১৯ দিনব্যাপী এ বইমেলার আয়োজন করেছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১১০টি প্রকাশনার প্রায় দেড়শটি স্টল রয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা। আরও বক্তব্য রাখেন বইমেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, বইমেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, জামাল উদ্দিন, সচিব সুমন বড়ুয়া প্রমুখ।