এ বছর রেকর্ডসংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তা সাহসিকতা ও সেবামূলক কাজের জন্য পদক পেতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে তিন শ কর্মকর্তার তালিকা করা হয়েছে। এই তালিকা সুপারিশ আকারে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। তালিকাভুক্ত কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবছর পুলিশের সেরা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী। সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ এবং সেবামূলক কাজের বিবেচনায় এসব পদক দেওয়া হয়। গত বছর পদক পেয়েছিলেন ১৮২ জন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই পদকের যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করতে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি কমিটি করা হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা কমিটির কাছে তাঁদের বছরের সেরা কাজটির বিবরণ পাঠান। তার ভিত্তিতে যাচাই শেষে পুলিশ সদর দপ্তরের কমিটি পদক পাওয়ার মতো কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তৈরি করে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠান। প্রধানমন্ত্রী তা চূড়ান্ত করে থাকেন। পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনের কর্মসূচিতে প্যারেডে সালাম গ্রহণের পর নিজ হাতে কর্মকর্তাদের এই পদকে ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী। এই পদক পুলিশের চাকরিতে খুবই সম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত। কর্মকর্তারা এর জন্য আর্থিক সুবিধাও পান এবং নামের শেষে এই পদক উপাধি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
এ বছর পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশ পাওয়াদের মধ্যে প্রায় সব জেলার পুলিশ সুপারদের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে। বেশ কয়েকজন ডিআইজিসহ কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তার নামও তালিকায় আছে। এর আগে এত বেশিসংখ্যক কর্মকর্তার নাম পদকের জন্য সুপারিশ করা হয়নি।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সুপারিশ করা হলেই যে তা চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে, এমনটি নয়। এর আগে পুলিশ সদরের সুপারিশ পাওয়ার পরও অনেকে শেষ পর্যন্ত বাদ পড়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনী প্রচারকালে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থনȟ জানিয়েছেন। ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, শিক্ষাবিদ, সাবেক আমলা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতা-সকলেই আওয়ামী লীগের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন। এক সমাজেরɛপ্রায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ যখন কোনো দলের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে তখন তাকে কোনোভাবেই আটকে রাখা যায় না।