শুক্রবার , ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

বরিশালে টাকার অভাবে বীর প্রতীক আঃ মালেকের চিকিৎসা বন্ধ

প্রতিবেদক
Alltime BD News24 .com
জানুয়ারি ১৮, ২০১৯ ৯:৩৬ অপরাহ্ণ

টাকার অভাবে মুক্তিযুদ্ধের খেতাব প্রাপ্ত বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর প্রতীক হাবিলদার আঃ মালেকের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। তার চিকিৎসার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু তার পরিবারের সামর্থ নেই। এ কারণে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আঃ মালেকের চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে, ৬ বছর আগে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে তিনি পঙ্গুত্ব বরন করেছেন। তার বাম হাত ও পা অবশ হয়ে গেছে। ডায়েবেটিকস, হৃদরোগ সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি ও শ্রবনশক্তি হারিয়ে তিনি এখন শয্যাশায়ী। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী রনাঙ্গন কাঁপানো গ্রুপ কমান্ডার,খেতাব প্রাপ্ত সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মালেক (৭৭) নানা রোগের কাছে আজ একজন পরাজিত সৈনিক। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিবারটি আর্থিকভাবে আজ প্রায় নিঃস্ব।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদীর কুতুবপুর গ্রামের মৃত খাদেম আলী চাপরাশির পুত্র আঃ মালেক ১৯৬১ সালে তৎকালীন ইপিআর বাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি চাকুরী ছেড়ে এলাকায় চলে আসেন। যুবকদের নিয়ে তিনি মুক্তিবাহিনীর একটি ইউনিট গঠন করেন এবং ট্রেনিং এর জন্য তাদেরকে ভারতে নিয়ে যান।

ভারতের বেগুনদিয়ার টাকী ক্যাম্পে তাদের ট্রেনিং প্রদান করা হয়। পরবর্তিতে আঃ মালেককে ৫৬ জন মুক্তিবাহিনীর একটি দলের গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বভার প্রদান করা হয়। তিনি তাদের নিয়ে এলাকায় ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধের ৯ সেক্টরের অধীনস্থ আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজাম উদ্দিন ও হেমায়েত বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, মুলাদী, উজিরপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন।

তিনি ছিলেন ৯ সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) জলিলের একনিষ্ঠ বিশ্বস্ত সহোচর। তার সহযোদ্ধা ছিলেন গৌরনদী উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বুলেট সেন্টু,ডেপুটি কমান্ডার মনিরুল হক সোহরাব হোসেন খানসহ এলাকার অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতাযুদ্ধে অসাধারন অবদান রাখার জন্য তাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভুষিত করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে তিনি পূনরায় বিডিআর বাহিনীতে যোগদান করেন। হাবিলদার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর ১৯৮৪ সালে তিনি অবসর গ্রহন করেন।

মুক্তিযোদ্ধা আঃ মালেকের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, ২০১২ সালে আমার স্বামী পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরন করেন। জমা-জমি বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসার খরচ চালিয়েছি। এরপর ২ বছর আগে আমার (রাবেয়া বেগমের) উভয় কিডনীতে পাথর ধরা পরে। অপারেশন করে পাথর অপসারন করতে বহু টাকা খরচ হয়েছে।

৩ ছেলে ২ মেয়ে এখনও লেখাপড়া করছে। স্বামীর পেনশন ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকায় সংসারের খরচ চালাতে হয়। চিকিৎসার টাকা পাবো কোথায় ? স্বামীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য পাওয়ার আশায় গৌরনদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহ বিভিন্ন স্থানে বহুবার আবেদন করেও কোন সহায়তা পায়নি। এ কারণে নিরুপায় হয়ে তিনি অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার জন্য প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

(Visited ১ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত

যুব সমাজকে সুস্থ ধারায় রাখতে ডাকটিকেট সংগ্রহচর্চা অন্যতম মাধ্যম- পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

দাবাং থ্রি আপাতত স্থগিত, কারণ জানালেন নায়ক নিজেই

মাথা ব্যথায় উপকার পেতে যা খাবেন

গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র ভাইস-চ্যান্সেলর ঢাবি প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থীর আশঙ্কা

স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়িতে ইয়াবা!

দেশে ১৩ মিলিয়ন ডলারের ক্লাউডবেজড ব্যবসা হচ্ছে : পলক

বরিশালে স্ত্রীকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন

বরিশাল বিভাগে আক্রান্তের ২৬.৮২ ভাগ সুস্থ, মৃত্যু ২.১১ শতাংশ

ঝালকাঠির রাজাপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেনির শিক্ষার্থীকে গণধর্ষন : আটক-২