বরিশালে ‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে আয়রে চলে আয় আয় আয়…’ এই স্লোগানে জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ বরিশাল জেলা শাখার আয়োজনে নগরীর জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পৌষমেলা।
প্রতিদিন বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে মেলা চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। আজ শনিবার (১২ জানুয়ারি) মেলার দ্বিতীয় দিন। ৩ দিনব্যাপী এই মেলার অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য ও নাটক।
এদিকে মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে ২০টি স্টলে পিঠা-পুলি ও পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে বিক্রেতারা। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্যের কিছু চিত্র।
পৌষ মেলায় বিনোদনের জন্য সঙ্গীত অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নাগর দোলারও সু-ব্যবস্থা রয়েছে।
মেলার দ্বিতীয় দিনে শনিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় প্রদীপ প্রজ্বলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নজরুল ইসলাম চুন্নুর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিজন শান্তি দাস, কবি আসমা চৌধুরী প্রমুখ।
পরে সন্ধ্যায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) প্রদীপ প্রজ্বলন এবং বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে পৌষ মেলার উদ্বোধন করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
এদিকে পৌষ মেলায় বয়স্কদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সবার মধ্যে একটা উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দেখা গেছে, কেউ বিভিন্ন স্টল থেকে পিঠা কিনছেন, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে রয়েছেন।
মেলার আয়োজক জাতীয় রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদের বরিশাল শাখার সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার বড়াল জানান, নতুন প্রজন্ম যারা শহরে বাস করেন, তারা পৌষ-পার্বণ সম্পর্কে কিছুই জানে না। পৌষ-পার্বণ এবং গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ৩ দিনব্যাপী মেলাকে আকর্ষণীয় করতে আয়োজন করা হয়েছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে ২০টি স্টলে নতুন-পুরান বাহারি পিঠার সম্ভার রাখা হয়েছে বলেও জানান উত্তম বড়াল।
আগামীকাল রোববার (১৩ জানুয়ারি) পৌষ মেলা শেষ হবে।