বরখাস্ত হওয়া সিবিআই-প্রধান অলোক ভার্মা নতুন পদে যোগদান করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের পদে অলোক ভার্মাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু আজ শুক্রবার পদত্যাগই করে বসেছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক পদে যোগ দেওয়ার কথা ছিল অলোক ভার্মার। সিবিআই-প্রধান হিসেবে ‘কাঙ্ক্ষিত সততার’ পরিচয় না দেওয়ার কারণ দেখিয়ে অলোককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে অলোক বলেছেন, ‘সাধারণ ন্যায়বিচার আর রক্ষা করা হচ্ছে না এবং নিম্ন সাক্ষরকারীকে পরিচালকের পদ থেকে সরানোর জন্য পুরো প্রক্রিয়াটি উল্টোভাবে পরিচালিত হয়েছে।’
আগামী ৩১ জানুয়ারি অলোক ভার্মার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না তিনি। বিবৃতিতে অলোক বলেছেন, গতকালের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে দেখা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিটি সরকার কীভাবে বিবেচনা করছে। এই বিষয়ে সমন্বিতভাবে অন্তর্দৃষ্টি দেওয়ার সময় এসেছে।
আদালতের রায়ে গত মঙ্গলবার সিবিআই-প্রধানের পদ ফিরে পেয়েছিলেন অলোক ভার্মা। এর দুই দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। আদালতের রায়ে সিবিআই-প্রধানের পদ ফিরে পাওয়ার পরপরই মোট ১০ জন কর্মকর্তার বদলি ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন অলোক ভার্মা। অন্যদিকে আরও ৫ কর্মকর্তাকে বদলি করেছেন তিনি।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন কমিটিতে অলোক ভার্মাকে সরানোর সিদ্ধান্ত ২-১ ভোটে পাস হয়। কমিটিতে থাকা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতে তা টেকেনি।
গত মঙ্গলবার ভারতের শীর্ষ তদন্ত সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) প্রধান অলোক ভার্মাকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্ট। এতে তিন মাসের মাথায় আবার জায়গা ফিরে পান তিনি। তবে বড় ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল না অলোক ভার্মার। তাঁর জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নিয়োগের বিষয়টিও বাতিল করেছিলেন আদালত।