থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখগুলোতে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট, টিএসসি এলাকায় মোতায়েন রয়েছে ৩০-৩৫ জন পুলিশ।
ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে চলা ‘প্রগতির মঞ্চে বিজয়ের স্বরলিপি’ শীর্ষক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোক উৎসবের আজ শেষ দিন। সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ-এর ব্যানারে চলে আসা এই উৎসবের মঞ্চ থেকেই রাত ১২টায় ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাবে ছাত্রলীগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বৈধ পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে ক্যাম্পাস এলাকায় ঢুকতে পারছেন। আজকের জন্য বহিরাগতদের এই এলাকায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে ক্যাম্পাস এলাকায় জনসমাগম অন্য দিনের চেয়ে তুলনামূলক কম৷
থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে এই নিরাপত্তাব্যবস্থার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিবছরই থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঝুট-ঝামেলা এড়াতে ক্যাম্পাস এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা ভালোভাবে এটি উদ্যাপন করতে পারে এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। বহিরাগতদের আমরা সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে ডিসকারেজ (নিরুৎসাহিত) করি। আজকে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে যাতে বহিরাগতরা অবস্থান না করে।’