বরিশাল নগরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন ওয়াদুদুর রহমান সোহেল মোল্লা নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। গুরুতর অাহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে শহরের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া উকিল বাড়ি সড়ক এলাকায় এই ভয়াত্বক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে।
সোহেল মোল্লা বরিশাল নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। তিনি বরিশাল সদর আসনে ৫ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামিমের পক্ষে কাজ করছেন।
এই হামলার খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে মুল হামলাকারীরা ঘটনার পরে লাপাত্তা হলেও নাজমুল নামে এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযোগ রয়েছে- বিএনপির এই গ্রুপটি এর আগেও সোহেল মোল্লার ওপর হামলা করেছিল। এবারও পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। সেক্ষেত্রে অনেকেই ধারনা করছেন বড় ধরনের একটি সংঘাত সৃষ্টি করাই ছিল বিএনপি নেতাকর্মীদের মুল টার্গেট।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মনির মোল্লা জানিয়েছেন- সোহেল মোল্লা বাসা থেকে মোটরসাইকেলযোগে রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। মাঝপথে বরিশাল মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জিয়া উদ্দির সিকদারের নেতৃত্বে যুবদল নেতা কাওসার মোল্লা একদল সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা করেন।
একপর্যায়ে বিএনপির সন্ত্রাসীরা সোহেল মোল্লাকে এলোপাতারি পিটিয়ে আহত করেন। খবর পেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ছুটে আসলে হামলাকারী জিয়া সিকদার দলবল নিয়ে পালিয়ে গেছে।
পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে নাজমুল নামে বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
এই হামলার খবর নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন মাহি জানিয়েছেন- হামলাকারীরা মুহূর্তের মধ্যে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের সকলকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তীতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন- এই ঘটনায় অভিযোগ দিলে আইনাননুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এই বিষয়ে জানতে হামলাকারীদের নেতৃত্ব দেওয়া জিয়া সিকদারেরর মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।’