ইদানীং জি বাংলায় ‘করুণাময়ী রানী রাশমণি’ আর ‘হৃদয়হরণ বিএ পাস’ সিরিয়াল দুটিতে অভিনয় করছিলেন গৌতম দে। আজ সোমবার সকালে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। অনেক দিন থেকেই ক্যানসারের ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। এর মাঝেই তিনি অভিনয় করে গেছেন। কারণ অভিনয়কে তিনি এতটাই ভালোবেসেছিলেন, একসময় অভিনয়টা তাঁর নেশা হয়ে যায়। সম্প্রতি তাঁর অসুস্থতা বেড়ে যায়। তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, আজ সকাল সাতটায় সেখানেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
গৌতম দের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘বর্ষীয়ান অভিনেতা গৌতম দের প্রয়াণে আমি শোকাহত। দীর্ঘদিন বাংলা থিয়েটার ও ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি ধারাবাহিকেও তাঁর কাজ ছিল দেখার মতো। গুণী এক অভিনেতাকে হারাল বাংলা। তাঁর পরিবারকে আমার সমবেদনা জানাই।’
গৌতম দে অনেক বছর আগে থেকে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি ছোট পর্দায় কাজ শুরু করেন। অনেকগুলো সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। বাবা-কাকা-জেঠু থেকে শুরু করে চিকিৎসক-উকিল-পণ্ডিত, সব চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে৷ তিনি প্রথম জনপ্রিয় হন গত শতকের নব্বই দশকের মেগা সিরিয়াল ‘জন্মভূমি’তে অভিনয় করে। এখানে তাঁর চরিত্রের নাম ‘নরনারায়ণ’। এরপর তিনি খুব পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। আর নির্মাতাদের কাছে হয়ে ওঠেন নির্ভরযোগ্য একজন অভিনেতা।
তিনি আরও অভিনয় করেছেন ‘লাবণ্যের সংসার’, ‘খুঁজে বেড়াই কাছের মানুষ’, ‘কুসুম দোলা’, ‘জলনূপুর’, ‘ইষ্টিকুটুম’, ‘তিথির অতিথি’, ‘ধ্যাত্ তেরিকা’, ‘এ কোন সকাল’সহ অসংখ্য সিরিয়ালে।
আজ সোমবার বেলা দেড়টায় গৌতম দের মরদেহ কলকাতার টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান টেলিজগতের মানুষজন।