আওয়ামী লীগের ইশতেহারে নতুন প্রতিশ্রুতির সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে বিগত ১০ বছরে তাদের শাসনামলে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের অর্জনসমূহ। সে তুলনায় বিএনপির ইশতেহার একেবারেই ছোট
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ ইশতেহার ঘোষণা করেছে রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর অন্য একটি হোটেলে বিএনপির ইশতেহার ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ক্রীড়াঙ্গনের জন্য কী আছে ইশতেহারে?
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে নতুন প্রতিশ্রুতির সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে বিগত ১০ বছরে তাদের শাসনামলে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের অর্জনসমূহ। সে তুলনায় বিএনপির ইশতেহার একেবারেই ছোট।
আওয়ামী লীগ ইশতেহারে গত ১০ বছরের সাফল্য ও অর্জন সম্পর্কে লেখা আছে
- বিশ্ব ক্রিকেটে বর্তমানে পুরুষ ও মহিলা দুই বিভাগেই বাংলাদেশ গৌরব জাগানো অবস্থান করে নিয়েছে। ফুটবলেও সার্ক অঞ্চলে ভালো অবস্থানে রয়েছে। হকিসহ অন্যান্য খেলার মান বৃদ্ধির জন্য সহায়তা জোরদার করা হয়েছে।
- সরকার কর্তৃক বিশেষ সহায়তার আওতায় ৩১টি খেলার ইভেন্টে তৃণমূল পর্যায় থেকে বাছাইকৃত প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
- জাতীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনূর্ধ্ব-১৭ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।
- প্রাথমিক পর্যায়ের ফুটবলে ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ও মেয়েদের জন্য বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ আয়োজন করার মাধ্যমে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বের হচ্ছে।
- ৫,৫৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
- সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রূপান্তর করে সেখানে আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।
- টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, কারাতে, উশু ও ভলিবল খেলার প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিকেএসপিতে ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও পরিকল্পনা সম্পর্কে ইশতেহারে লেখা আছে
- বিশ্ব ক্রিকেটে বর্তমানে বাংলাদেশের গৌরব জাগানো অবস্থান আরও সুদৃঢ় করার সঙ্গে ফুটবল–হকিসহ অন্যান্য খেলায় আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে।
- ক্রীড়া ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ সুবিধার সম্প্রসারণে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
- প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে খেলাধুলা ও শরীরচর্চাকে শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বিএনপির ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে
- আগামী ৫ বছরের মধ্যে খেলাধুলার কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ যাতে একটি গ্রহণযোগ্য স্থান করে নিতে পারে, সে লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। খেলাধুলায় আন্তর্জাতিক মান অর্জনের জন্য প্রতি জেলায় একটি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্রীড়া একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
(Visited ১ times, ১ visits today)