চীনের মোবাইল বাজারে স্যামসাংয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। স্থানীয় মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কিছুতেই পেরে উঠছে না দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোনের বাজারে তাই পিছু হটতে হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতাকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের তিয়ানজিনে একটি কারখানা বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে স্যামসাং। ওই কারখানায় ২ হাজার ৬০০ কর্মী কাজ করেন। সেখানে বছরে ৩ কোটি ৬০ লাখ ইউনিট ফোন উৎপাদন করা হয়।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্টের তথ্য অনুযায়ী, চীনের বাজারে দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে হুয়াওয়ে ব্র্যান্ড। সেখানে স্যামসাংয়ের বাজার ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। ২০১৩ সালে দেশটিতে ১৩ শতাংশ স্যামসাং মোবাইলের দখলে ছিল।
স্যামসাংয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের উৎপাদন কারখানাগুলোয় আরও সক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে তিয়ানজিনের স্যামসাং ইলেকট্রনিকস টেলিকমিউনিকেশন বন্ধ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ কারখানাটি বন্ধ হয়ে যাবে। কর্মীদের ক্ষতিপূরণ ও অন্য জায়গায় কাজের সুযোগ দেওয়া হবে।’
স্যামসাং এখন ভিয়েতনাম ও ভারতের মতো কম খরচে মোবাইল উৎপাদন করা যায়—এমন দেশে কারখানা করতে আগ্রহী। তবে চীনের গোয়াংডংয়ে থাকা আরেকটি কারখানা এখনই বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে স্যামসাং।
হুন্দাই মোটর সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক গ্রেগ রোহ বলে, চীনে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে উৎপাদন করার প্রয়োজন মনে করবে না স্যামসাং। এ ছাড়া চীনে স্যামসাং ফোনের চাহিদা কমে গেছে। চীনের চেয়ে ভিয়েতনাম ও ভারতে গেলে তাদের সুবিধা।
চীনের গোয়াংডংয়ের হুইঝো কারখানায় বছরে ৭ কোটি ২০ লাখ ইউনিট ফোন উৎপাদন করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ভিয়েতনামে স্যামসাংয়ের দুটি কারখানায় ২ কোটি ৪০ লাখ ইউনিট ফোন তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি কারখানার সক্ষমতা বিষয়ে তথ্য জানায়নি স্যামসাং। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, চীন এখনো স্যামসাংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এখনো চীনের আর্থিক নীতিমালায় প্রবৃদ্ধিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে।