আসন ভাগাভাগির পরও বিভিন্ন আসনে শরিকেরা নিজেদের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিকে আওয়ামী লীগের ‘কৌশল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা কৌশল আছে। কৌশলটা তো বলব না। আমাদের সুস্পষ্ট কৌশল আছে। এমনিই ছেড়ে দিয়েছি আমরা? আমাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অ্যালায়েন্স দাঁড়িয়ে গেছে, আমরা না বুঝে কি দিয়েছি এটা।’
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার দেখা করার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যদি নির্বাচন থেকে সরে যায়? তারপর? আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদ তৈরি করতে দেব না।
‘বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ’—বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা তাদের সরিয়ে দিতে যাব কেন। না না, তারা যদি সরে যায়, সে জন্যই আমরা জোটকে নিয়ে কৌশল করেছি।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ভালো পরিবেশ প্রয়োজন। সে জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে ইসিকে সহযোগিতা করবে সরকার। নির্বাচনী সহিংসতায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবে এই পরিস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের সংযত ও সহনশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছি আমরা।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সব পক্ষকেই নির্বাচনী সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আর্ল রবার্ট মিলার সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তাই, সব পক্ষের উচিত নির্বাচনী সহিংসতা এড়িয়ে চলা। সহিংসতা গণতন্ত্রের কোনো পন্থা হতে পারে না। তাই নির্বাচনী সহিংসতা চায় না যুক্তরাষ্ট্র। আমরা সংঘাতহীন নির্বাচন দেখতে চাই।