শামীম আহমেদ, ॥ বরিশাল এখন মশার স্বর্গ রাজ্যে পরিনত হয়েছে॥ দিনের বেলায় ও মশারী টানিয়ে ঘুমাতে হয়।বিকালে পরে কয়েল জ্বালিয়ে দিনাতিপাত করতে হয় নগরবাসী।মারাত্মক ক্ষতিকর এই কয়েল ব্যবহারে সুবিধার চেয়ে ঝুকি বেশি বিশেসজ্ঞরা জানিয়েছে। এ দিকে সাধারন মানুষ জানায়,মেয়র আসে, মেয়র যায়, কিন্তু ‘ মশা যায় না।মশার অত্যাচারে অতিষ্ট নগরবাসী।
এরইধারাবাহিকতায় নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে তৃনমূলে আলাপ করে জানাগেছে, সাবেক মেয়র মরহুম এ্যাড.শওকত হোসেন হিরনের সময় নগরীর ৩০ টি ওর্য়াডে এবং বাসাবাড়ি সহ ড্রেনে সিটি কর্পোরেশন থেকে মশা নিধক ঔষধ স্প্রে করা হত। পরবর্তিকালে বিএনপির মেয়র এ্যাড,আহসান হাবিব কামাল অবস্থানকালে এই অর্থ বরাদ্ধ নেই,মশা নিধক ঔষধ নেই মর্মে এ কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ফলে এই দীর্ঘ সময়ে নগরীর সকল ড্রেনেজ ব্যাবস্থা এবং বাসা বাড়িরতে মশার আক্রমন দিন দিন বেড়ে চলেছে। মশার উপদ্রব এতই বেড়েছে যে কাজকর্ম তো দূরের কথা স্থির হয়ে বসাই দ্বায় হয়ে পড়েছে।
সন্ধ্যা নামলেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশার ঘরে ঘরে প্রবেশ করে যার তান্ডব চলে সারা রাত।সিটিকর্পোরেশন থাকলে ও মশা নিধনে তাদের কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনা।মশার অত্যাচারে ছাত্র/ছাত্রীরা ঠিকমত পড়াশুনা করতে পারে না।
এ বিষয় ক্ষোভ প্রকাশ করে নগরীর বাংলা বাজার এলাকার নিবাসী আবদুল রহমান ,এই প্রতিবেদক কে বলেন,আমার মেয়ে এ বৎসর প্রাথমিক ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবে তাই মশার কয়েল জ্বালিয়ে ও মশার অত্যাচারে ঠিকমত পড়াশুনা করতে পারছেনা। তাই পরীক্ষা নিয়ে চিন্তায় আছি।
অন্য এক ব্যক্তি জানান, মশা এত বেরেছে যে, রাতের চেয়ে দিনে বেশি অসুবিধা।তিনি আরো বলেন নগরীর পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা অনেক জায়গায় বন্ধ থাকায় ড্রেনের পচা পানিতে এই মশার জন্ম হচ্ছে।আগে ড্রেন ও ঝোপঝাড়ে ঔষধ ছিটিয়ে দেয়া হত এখন না দেয়া হয়না তাই যা হবার তা হচ্ছে।
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী জানালেন,বরিশালে মশা বৃদ্ধ পাওয়ায় তাদের মশারী বিক্রি বেড়ে গেছে। যোগাযোগ করলে বিসিসি’র নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ খাইরুল হাসান জানান, মশা বেড়েছে এটা সত্যি । এত দিন ঔষধ ছিল না।তবে ইতিমধ্যে ঔষধ আনা হয়েছে।আশা করি আগামী সপ্তাহে মশা নিধন কার্যক্রম চালু করা হবে।