গত মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে তার ব্যাটিং নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল টেস্ট দলে তার অবস্থান সম্পর্কেও। সেসব কোন কথা ভুল ছিলো না। লম্বা একটা সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেটে রানের দেখা পাচ্ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যে কারণে পড়তে হয়েছিল সমালোচনার মুখে।
সেসব সমালোচনার মুখে শীতকালে ব্যাট হাতে বসন্ত নিয়ে এলেন বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসার পাত্র মাহমুদউল্লাহ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ঢাকা টেস্টে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। মাঝে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে তার ব্যাটের রান ছিলো ৩ ও ৩১।
মাহমুদউল্লাহর আগে সেঞ্চুরির সুযোগ এসেছিল অভিষিক্ত ওপেনার সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সামনে। সাদমান ৭৬ ও সাকিব ৮০ রানে ফিরলেও, হতাশ করেননি বিপদের বন্ধু খ্যাত মাহমুদউল্লাহ। ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে ২০৩ বলের দীর্ঘ ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন তিনি।
নিজের ষোলতম পঞ্চাশ পূরণ করতে ৮৮ বল খেলে ৪টি চার মেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর যেনো ঢুকে যান খোলসে। অপরপ্রান্তে মারকাট ব্যাটিংয়ে মাত্র ৬২ বলে ৫৪ রান করে লিটন ও ২৬ বলে ১৪৮ রান করে মিরাজ ফিরে গেলেও এক প্রান্ত ধরে রাখেন মাহমুদউল্লাহ। দ্বিতীয় পঞ্চাশ করার পথে মাত্র ২টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ১৪০তম ওভারের শেষ বলে রস্টোন চেজকে বাউন্ডারি মেরেই ৯৯ থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান মাহমুদউল্লাহ। ২০৩ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিটি হয় তার। তাকে সঙ্গ দিয়ে খেলে যাচ্ছেন দশ নম্বর ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলাম।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৪৫৭ রান। মাহমুদউল্লাহ ১০৩ ও তাইজুল ২১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।