বরিশাল জেলার ৬টি আসনের মধ্যে ৪টি’তে নৌকার মাঝি ঘোষণা করা হয়েছে। ১৪ দল এবং মহাজোটের শরীকদের জন্য জেলার ২টি আসনে (বরিশাল-৩ ও ৬) প্রার্থী ঘোষণা করেনি ক্ষমতাসীনরা।
রবিবার আওয়ামী লীগ সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের ঘোষণায় জেলার ৪টি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র একটি আসনে (বরিশাল সদর) নৌকার মাঝি পরিবর্তন হয়েছে। অপর ৩টি’তে বিদায়ী এমপিদের উপরই আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে প্রত্যাশা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের একক প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন নিরীক্ষন কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী মর্যদা) বিদায়ী এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওই আসনের বিদায়ী এমপি অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ।
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওই আসনের বিদায়ী এমপি পংকজ নাথ।
মর্যদাপূর্ন বরিশাল-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম। ২০০৮ সালে সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিলেন তিনি। সদরে প্রথমে সাবেক প্রয়াত সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের সহধর্মীনি বিদায়ী এমপি জেবুন্নেছা আফরোজের নাম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের উপর আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড। জাহিদ ফারুক শামীম দলের মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন। জেবুন্নেছা আফরোজও তার মনোনয়ন না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এদিকে বরিশাল-৩ আসনের মতো বরিশাল-৬ আসনেও কোন প্রার্থী ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে দলের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টিকে বরিশাল-৬ ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে নাম না প্রকাশের শর্তে আভাস দিয়েছে দলের দায়িত্বশীল একজন নেতা।