মঙ্গলবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

অপরিকল্পিত প্রকল্প থেকে বাদ যাচ্ছে শতকোটি টাকা

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭ ২:৩৩ পূর্বাহ্ণ

অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্প গ্রহণ করায় চার বছর পর বাদ দেওয়া হচ্ছে ১০৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। বাগেরহাট জেলার পোল্ডার ৩৪/২ এর সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটির মূল ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছিল ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত। পরবর্তীতে এক বছর বাড়িয়ে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এতোদিন পর এসে মূল ব্যয় থেকে ৬২ দশমিক ৯৯ শতাংশ ব্যয় কমিয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হচ্ছে ৬১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। তাছাড়া প্রকল্পের আওতায় অনেকগুলো কাজ বাদ দিয়েই প্রকল্পটি সমাপ্ত করা হচ্ছে। ফলে প্রকল্পটি গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না। এ সংক্রান্ত একটি সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্প সাইট বাগেরহাট জেলা এবং কিছু অংশ খুলনা জেলায় অবস্থিত। বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১৯৬৪ সালে একটি মহাপরিকল্পনা করা হয়। এই মহাপরিকল্পনার সুপারিশ অনুযায়ী লবণাক্ত ও জোয়ারের পানি প্রবেশ রোধে ষাটের দশকে উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বাগেরহাট জেলার ৩৪/২ পোল্ডারটি উল্লেখিত উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও সে সময়ে বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তীতে পোল্ডার ৩৪/২ এর সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অব পোল্ডার ৩৪/২ ইন বাগেরহাট ডিট্রিক্ট শীর্ষক একটি সমীক্ষা প্রকল্প ২০১০ সালের জানুয়ারি হতে ২০১১ সালের জুনে বাস্তবায়িত হয়। প্রধান পরামর্শক হিসেবে হাউজ অব কনসালটেন্ট লিমিটিডে সমীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়া সিইজিআইএস কর্তৃক পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন এবং আইডব্লিউএম কর্তৃক গাণিতিক মডেল স্টাডি করা হয়। এই সমীক্ষা প্রকল্পের সুপারিশের আলোকে এই মূল প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।

মূল প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে মোট ১৬৭ কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১২ সালের জুলাই হতে ২০১৫ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্পের মেয়াদ ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া এক বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এই প্রকল্পের আউটফল এলাকায় মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল অবস্থিত। চ্যানেলের নাব্যতা বজায় রাখাসহ চ্যানেল সচল রাখার স্বার্থে প্রকল্পের আওতায় সম্পাদিত নদী, খাল পুনঃখননের সংস্থান রেখে ভূমি অধিগ্রহণ হ্রাস, রেগুলেটর নির্মাণ আংশিকভাবে স্থগিত এবং বাধঁ নির্মাণ বাদ দিয়ে মোট ৭৪ কোটি ৯৮০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১২ সালের জুলাই হতে ২০১৬ সালের জুন মেয়াদে সমাপ্তির জন্য প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৬১ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, যা মূল অনুমোদিত ব্যয়ের চেয়ে ১০৫ কোটি ৩৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা কম।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে ৮০ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, ১১০ দশমিক ৩০ কিলোমিটার খাল, নদী পুনঃখনন, ৪৯ দশমিক ৯৮ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, ২০ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার বাঁধের রি-শেপিং এবং ১৩টি রেগুলেটর নির্মাণ করা হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এএন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী পরিকল্পনা কমিশনে মতামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রকল্পের বাস্তবকাজ অসমাপ্ত রেখে বাস্তবায়নের মাঝপথে প্রকল্পটি বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্পটি বন্ধের বিষয়ে কারিগরি মতামতের ভিত্তিতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় একটি নির্বাহী সার-সংক্ষেপ পুনর্গঠিত ডিপিপিতে সংযুক্ত করেছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী সার-সংক্ষেপে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের আউটফল এলাকায় মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বজায় রাখাসহ চ্যানেল সচল রাখার স্বার্থে প্রকল্পের আওতায় সম্পাদিত নদী খাল পুনঃখনের সংস্থান রেখে এবং বাঁধ ও রেগুলেটর নির্মাণ বাদ দিয়ে প্রকল্পটি সমাপ্ত করা যুক্তিযুক্ত হবে।

 

(Visited ৩ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি