যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আন্দোলন ‘মি-টু’তে অভিযোগ উঠেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান নির্বাহী রাহুল জহুরির বিরুদ্ধে। ওই এক অভিযোগই নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো ভারতীয় ক্রিকেটকে। যেটি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তবে আলোচিত এই ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হননি জহুরি।
বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিই যাচাই বাছাই ও পর্যবেক্ষণে দোষ খুঁজে পায়নি জহুরির। ফলে বিসিসিআইয়ের প্রশাসনে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে আর বাধা রইল না তার।
তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জানাতে গিয়ে বিচারক রাকেশ শর্মা জহুরির বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেন। কমিটির সদস্য বারখা সিংও এই অভিযোগকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বানোয়াট’ বলেন। তারা দুজনই জহুরিকে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
জহুরির বিরুদ্ধে ‘মি-টু’ ঝড় তুলেছিলেন এক মহিলা। ঝড়ের তীব্রতা বাড়ছিল ক্রমশ। আর ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সিইও।
বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করেছিলেন রাহুল জহুরি, এমনই অভিযোগ করেছিলেন সেই মহিলা। কিন্তু তার অভিযোগ ধোপে টিকল না। কমিটি রায়ে উঠে এলো, জহুরির ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই নাটক সাজিয়েছিলেন ওই মহিলা।