এক কেজির দই বলে ক্রেতাদের দেয়া হচ্ছে ৫৪৬ গ্রাম। কেজিতেই ১২৫ টাকা ঠকছেন ভোক্তা। স্যুপ তৈরিতে কর্নফ্লাওয়ারের বিপরীতে ব্যবহার হচ্ছে কাপড়ের এরারুট। বেশি মূল্য আদায় করেও দেয়া হচ্ছে নিম্নমানের খাবার। এসব অভিযোগে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- টাংগাইল চমচম ঘর, রাজভোগ সুইটস, অনন্য সুইটস, মুজাহিদি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও সানায়া চাইনিজ রেস্টুরেন্ট।
মঙ্গলবার রাজধানীর হাজারিবাগ ও বাড্ডা এলাকায় সরেজমিন তদন্তে অভিযোগ পাওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানকে মোট এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস। এ সময় সার্বিক সহযোগিতা করেন এপিবিএন-১১ এর সদস্যরা।
জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, বগুড়ার দই বলে মাটির হাড়িতে এক কেজিতে দেয়া হচ্ছে ৫৪৬ গ্রাম। যা ভোক্তা আইনের ৪৬ ধারার অধীন একটি অপরাধ। এছাড়া চাইনিজ রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবারের উচ্চ মূল্য আদায় হলেও দিচ্ছে নিম্নমানের খাবার। স্যুপ ভেজিটেবলসহ বিভিন্ন খাবারে কর্নফ্লাওয়ারের পরিবর্তে মেশানো হচ্ছে কাপড়ে ব্যবহার করা এরারুট।
এসব অভিযোগে সাত প্রতিষ্ঠানকে মোট দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে টাংগাইল চমচম ঘরকে ১৫ হাজার টাকা, রাজভোগ সুইটসকে ৩৫ হাজার টাকা, অনন্য সুইটসকে ৩০ হাজার টাকা, মুজাহিদি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার টাকা, সানায়া চাইনিজ রেস্টুরেন্টকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে আরও দুই প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।