প্রাইভেট ও কোচিং এর কথা বলে নগরীর বিভিন্ন নিরিবিলি বিনোদন কেন্দ্রে প্রেম নিবেদনের মুহুর্তে কোতয়ালী পুলিশের বে-রশিক সদস্যরা হানা দিয়ে কমপক্ষে ৫০ জোড়া প্রেমিক জুটি আটক করেছে।
অভিভাবকদের থানায় ডেকে এনে ভবিষ্যতে ছেলে মেয়েদের খোজ খবর ঠিক মত রাখবে এই শর্তে বন্ড রেখে অভিভাবকদের জিম্মায় রাতেই ছেড়ে দেয়া হয়। নগরীতে বিভিন্ন কোচিং ও প্রাইভেট পড়ার কথা বলে প্রতিদিনই প্রেমিক জুটি মিলিত হয় বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে। তাদের প্রেম নিবেদন চলে অনেক রাত অবদি।
এতে করে একদিকে আইনশৃঙ্খলার যেমন অবনতি সম্ভবনা থাকে তেমনি সামাজিক অবক্ষয় বেড়ে চলছিলো। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিভাবকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেম নিবেদন চালিয়ে যাচ্ছিল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে নগরীতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে থাকা ছেলে মেয়েরাই বেশি দায়ী।
তবে উঠতি বয়সি শিক্ষার্থীরাও পিছিয়ে ছিলো না প্রেম নিবেদনে। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, শিশুপার্ক, বেলস্ পার্ক, ত্রিশ গোডাউন, স্বাধীনতা পার্ক, কাঞ্চন পার্কসহ একাধিক স্থানে কোতয়ালী পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে স্কুল-কলেজ ও কোচিং ফাঁকি দিয়ে সামাজিক পরিবেশ দূষনের অপরাধে প্রায় ৫০ প্রেমিক জুটিকে আটক করে।
আটককৃতদের নিয়ে আসার পরে রাতে কোতয়ালী থানায় অভিভাবকদের মিলন মেলার মত সৃষ্টি হয়। এসময় নাম প্রকাশে অনুইচ্ছুক এক অভিভাবক বলে ওঠেন আমার মেয়ের আজ রাতে আক্দ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে যদি এমন সংবাদ তারা পায় তাহলে কি হবে আমার মেয়ের ভাগ্যে আল্লাহই জানে। পরে সেই মেয়ের মুখোমুখি করে তার অভিভাবককে। পুলিশ সদস্যরা জানতে চায় আজ তোমার আক্দ অনুষ্ঠান তুমি কেন বাইরে বেড়িয়েছো। তখন মেয়েটি বলে ওঠে স্যার আমার বয় ফ্রেন্ডের সাথে শেষ বারের মত দেখা করতে এসেছিলাম।
এমন আর ঘটনার জম্ম দিলো অন্য অভিভাবক মেয়েকে জুতা পেটা করতে চাইলে পুলিশ বাধা প্রদান করে। তবে অনেকের মুখেই ছিলো এমন ঘটনা কেন ঘটায় এর বিচার বাসায় গিয়েই করবো। তবে অভিভাবকদের ভূমিকা পালন করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। কারন পুলিশের এই কাজ করার কথা ছিলো অভিভাবকদের।
সর্বশেষ কোতয়ালী পুলিশের অফিসার ইনজার্চ নুরুল ইসলাম পিপিএম সকল অভিভাবকদের থানায় আসতে বলেন এবং তাদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান। পরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার(এসি) মোঃ রাসেল আহম্মেদ অভিভাবক ও আটক প্রেমিক জুটিদের সামনে নিয়ে অভিভাভকদের আরো সচেতন ও ছেলে মেয়ে কে কোথায় যায় সেদিকে খেয়াল রাখার পরার্মশ দেন।
তিনি আরো বলেন, এ অভিযান চলমান থাকবে। যাতে করে কোন স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী সন্ধ্যার পরে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া আর বাইরে বের না হয়। তবে অনেক অভিভাবক ধন্যবাদ জানান কোতয়ালী থানা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের। তাদের কারনে আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের প্রতি আরো নজরদারী করবো।