কেউ রাজনীতি পছন্দ করুক, আর না করুক- ‘হাসিনা :অ্যা ডটার’স টেল’ একটি অসাধারণ প্রামাণ্যচিত্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার জীবনীভিত্তিক এই প্রামাণ্যচিত্র দেখে এমন মন্তব্য করেন মিরপুরের শফিকুল ইসলাম।
আরেক দর্শক ষাটোর্ধ্ব তাহেরা সুলতানা আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এ প্রামাণ্যচিত্র শুধু একটি ছবিই নয়, এটি বঙ্গবন্ধুকন্যার সংগ্রামের গল্প। নতুন করে অনেক কিছু জানলাম। দেখলাম। হৃদয় স্পর্শ করা একটি প্রামাণ্যচিত্র।’
রেজাউর রহমান পিপলু পরিচালিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাধারণ জীবনের অসাধারণ গল্প নিয়ে নির্মিত এই প্রামাণ্যচিত্র শুক্রবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের চারটি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছে। এ উপলক্ষে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, মধুমিতা সিনেমা হল ও যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাস-এর মতো চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনেও সকাল থেকেই উপচেপড়া ভিড় ছিল দর্শনার্থীর।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন- সিআরআইয়ের পক্ষে প্রামাণ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নসরুল হামিদ বিপু। ৭০ মিনিটের এই প্রামাণ্যচিত্রে সংগ্রামী শেখ হাসিনার কষ্টের গল্পগুলো দেখে কেউ কেউ নীরবে কেঁদেছেন। আবার সাদামাটা শেখ হাসিনাকে দেখে বিস্মিত হয়েছেন।
এদিকে, শুক্রবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে দ্বিতীয় বারের মতো প্রামাণ্যচিত্রটির প্রিমিয়ার শো হয়। এই শোতেও ভিড় করেন বিভিন্ন বয়সী দর্শক। সাবেক মন্ত্রী-এমপি, সিনেমা জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিরা থেকে নানা বয়সের মানুষ প্রামাণ্যচিত্রটি দেখতে ভিড় জমান।
প্রিমিয়ার শোর অংশ হিসেবে বেলা ১১টায় শুরু হয় প্রদর্শনী। ‘৭৫-পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার জীবন ও সংগ্রামের গল্প দেখতে প্রেক্ষাগৃহে যান বিভিন্ন স্তরের মানুষ। পরিচালক মুনশিয়ানার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।
ব্যক্তি শেখ হাসিনার আদর্শিক লড়াই, জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি উঠে এসেছে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু পরিবারের ত্যাগের গল্প। মুজিব আদর্শের এই চিত্রায়ণে মুগ্ধ সবাই।
আগামীতেও এমন ঐতিহাসিক ঘটনার বড় পর্দায় চিত্রায়ণ প্রত্যাশা করেন তারা।
বিকেল থেকে ঢাকার তিনটি ও চট্টগ্রামের একটি প্রেক্ষাগৃহে সর্ব সাধারণের জন্য প্রামাণ্যচিত্রটির বাণিজ্যিক প্রদর্শন শুরু হয়।